ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ দেশেই এখন বাণিজ্যিকভাবে মৌমাছি পালন করা হচ্ছে।কৃষি কাজ বা অন্য পেশার পাশাপাশি মৌ চাষ করে অনেকেই বাড়তি আয় করছেন। এছাড়া মৌমাছি পালনে বেকারত্ব সমস্যা্ও দূর হচ্ছে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক যে পদ্ধতিতে মৌ চাষ করলে অধিক লাভবান হওয়া যায়:

মাছির পরিচিতি: 
১.মৌমাছি এক ধরনের সামাজিক ও উপকারী পতঙ্গ।
২. সংঘবদ্ধভাবে রানী, শ্রমিক ও পুরুষ সমন্বয়ে একটি কলোনিতে বসবাস করে।
৩.স্বভাবসিদ্ধভাবে প্রকৃতিতে বসবাস করে।
৪. প্রধানত ফুল থেকে নেকটার ও পোলেন সংগ্রহ করে।
৫. সময় ও ক্ষেত্র বিশেষ কচিপাতা, উদ্ভিদের কাণ্ড, মিষ্টি ফল এবং চিনিজাতীয় খাদ্যদ্রব্য থেকে মিষ্টি রস সংগ্রহ করে।
৬.নেকটার অথবা মিষ্টি রস সংগ্রহ করে একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের তাৎক্ষণিক খাবার ও ভবিষ্যৎ সঞ্চয় হিসাবে মধু উৎপাদন করে।
৭. সংগৃহীত পোলেন থেকে মৌমাছি বিশেষ করে অল্প বয়সের মৌমাছির প্রোটিন জাতীয় খাবারের চাহিদা পূরণ করে।

আরও পড়ুন: মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন নওগাঁর কৃষকরা

মৌমাছির প্রকারভেদ:
প্রকৃতিতে চার প্রকারের মৌমাছি পাওয়া যায়। সেগুলো হলো- অ্যাপিস মেলিফেরা, অ্যাপিস ডরসেটা, অ্যাপিস সেরানা ও অ্যাপিস ফ্লোরিয়া। তবে অ্যাপিস মেলিফেরা প্রজাতির চাষাবাদ আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে লাভজনক।

অ্যাপিস মেলিফেরার বৈশিষ্ট্য: 
১.ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশে উৎপত্তি।
২. আকারে বড় ও শান্ত প্রকৃতির।
৩. অধিক মধু উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন (প্রতি কলোনিতে বছরে মধু উৎপাদন ক্ষমতা কমপক্ষে ৫০ কেজি) বাক্সে পোষ মানে এবং কখনই বাক্স বা কলোনি পরিত্যাগ করে না।

রাগায়নে মৌ চাষ: 
মৌমাছির মাধ্যমে সফল পরাগায়ন সম্ভব এটি সর্বজনস্বীকৃত। বিভিন্ন মধুফুল মৌসুমে মৌমাছি দ্বারা পরাগায়ত ফসলের ১০ থেকে ১৫ ভাগ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদিত বাড়তি ফসলের মূল্য মোট উৎপাদিত মধু ও মোমের মূল্যের ১০ থেকে ১৫ ভাগ বেশি। বাড়তি ফল ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৌচাষিদের পাশাপাশি কৃষককে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মধুফুল মৌসুমে ভ্রাম্যমাণ মৌ খামার ও প্রদর্শনী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে অধিক মধু এবং ফল ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৌচাষি এবং কৃষক উভয়ই উপকৃত হবেন। বাড়তি ফল ও ফসলের উৎপাদনের ফলে দেশের জিডিপিতে আরও অবদান রাখা সম্ভব।

আরও পড়ুন: যেভাবে ঢেঁড়শ চাষে অধিক লাভবান হবেন

মৌ চাষে সতর্কতা:  মৌবাক্সে বসানোর আশপাশের জমিতে বালাইনাশক সব সময়ই বিকেলের পরে স্প্রে করা প্রয়োজন। না হলে বালাইনাশক প্রয়োগের কারণে মৌমাছি মারা যাবে।

উপরিউক্ত পদ্ধতি মেনে মৌ চাষ করলে অধিক লাভবান হওয়া যাবে। যেভাবে মৌ চাষে অধিক লাভবান হবেন শিরোনামে লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি