চাষ ব্যবস্থাপনা ও করণীয় ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সাধারণত শীতকালে শিম চাষ করেন সবজি চাষিরা।এছাড়াও আগম শিম চাষ করে লাভবান হন চাষিই । এক্ষেত্রে সময় সাপেক্ষে শিমের জাত নির্বাচন করতে হয়। সঠিকভাবে শিমের জাত নির্বাচন না করলে তেমন ভালো ফলন পাওয়া যায় না।

আসুন জেনে নিই যেসব জাত নির্বাচনে শিম চাষে শতভাগ সফলতা পাওয়া যাবে:

জাত: সারাদেশে পঞ্চাশটিরও বেশি স্থানীয় শিমের জাত রয়েছে। উল্লেখযোগ্য জাত হলো বাইনতারা, হাতিকান, চ্যাপ্টাশিম, ধলা শিম, পুটিশিম, ঘৃত কাঞ্চন, সীতাকুন্ডু, নলডক ইত্যাদি। বারি শিম ১, বারি শিম ২, বিইউ শিম ৩, ইপসা শিম ১, ইপসা শিম ২, একস্ট্রা আর্লি, আইরেট ইত্যাদি আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত।

 আরও পড়ুন: যে পদ্ধতিতে শিম চাষে শতভাগ সফলতা

নিচে কয়েকটি আধুনিক জাতের শিমের পরিচয় তুলে ধরা হলো: 

বারি শিম ১-: এটি  মাঝারি আগাম জাত। আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসে বীজ বপন করতে হয়। প্রতিটি শিমের ওজন ১০-১১ গ্রাম, শিমে ৪-৫ টি বীজ হয়, প্রতি গাছে ৪৫০-৫০০ টি শিম ধরে। জীবনকাল ২০০-২২০ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন ২০-২২ টন।

বারি শিম ২-: এই জাতটি আগাম । আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসে বীজ বপন করতে হয়। প্রতিটি শিমের ওজন ১০-১৩ গ্রাম, শিমে ৪-৫ টি বীজ হয়, গাছ প্রতি ৩৮০-৪০০ টি শিম ধরে। জীবনকাল ১৯০-২১০ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন ১০-১২ টন।

বিইউ শিম ৩-:  সারা বছর চাষ করা যায়। গ্রীষ্ম মৌসুমেও চাষের উপযোগী। শিমের রঙ বেগুনি। প্রতিটি শিমে গড়ে ৫ টি বীজ হয়। হেক্টর প্রতি ফলন ৭-৮ টন।

আরও পড়ুন: শিম চাষে শতভাগ সফলতা পাওয়ার কৌশল ও পদ্ধতিসমূহ

ইপসা শিম ১-:  সারা বছর চাষ করা যায়। গ্রীষ্ম মৌসুমেও চাষের উপযোগী। শিমের রঙ বেগুনি। প্রতিটি শিমে গড়ে ৫ টি বীজ হয়। হেক্টর প্রতি ফলন ৫-১০ টন।

ইপসা শিম ২-:  সারা বছর চাষ করা যায়। গ্রীষ্ম মৌসুমেও চাষের উপযোগী। শিমের রঙ সাদাটে সবুজ। প্রতিটি শিমে গড়ে ৪ টি বীজ হয়। হেক্টর প্রতি ফলন ৭-৮ টন।

যেসব জাত নির্বাচনে শিম চাষে শতভাগ সফলতা আসে শিরোনামে লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/ এমবি