ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষক ভাইদের সুষম সার ব্যবহারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আলু, শাকসবজি, গম, সরিষা ইত্যাদি আবাদে সারের পরিমাণ নিয়ে সিদ্ধন্তহীনতায় ভুগে থাকেন। তাই জেনে নিন রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনে সার ব্যবহার কৌশল।

১. ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাটির উর্বরতা শক্তি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। মাটির উর্বরতা শক্তি সংরক্ষণ করে অধিক ফলনের জন্য ডিএপি সারসহ অন্যান্য রাসায়নিক সার সুষম মাত্রায় ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে হবে।

২. আলু আবাদে পরিমিত হারে পটাশ সার ব্যবহার করা হলে আলুর আকৃতি, মান ও সংরক্ষণগুণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া আলুর রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং বাজার মূল্য ভালো পাওয়া যায়।

৩. ডিএপি একটি বিশেষ গুণগতমান সম্পন্ন সার। ডিএপি সারে ইউরিয়া ও টিএসপি দুটি সারের গুণাগুণ বিদ্যমান।

৪. ডিএপি ব্যবহার করলে টিএসপি ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।

৫. প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ডিএপি সারে ২০ কেজি ইউরিয়া পাওয়া যায়।

আরোও পড়ুন: পেঁয়াজ রোপণে জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ মাত্রা

৬. টিএসপি এর পরিবর্তে ডিএপি ব্যবহার করলে প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ইউরিয়া বাবদ প্রায় ১৭০ টাকা সাশ্রয় হয়।

৭. ডিএপি সার খুব তাড়াতাড়ি পানিতে গলে। ফলে দ্রুতবর্ধনশীল এবং স্বল্প মেয়াদের ফসল যেমন- আলু, শাকসবজি, গম, সরিষা ইত্যাদি আবাদে খুবই উপযোগী।

৮. ডিএপি ও এমওপি সার ব্যবহার করলে দানা পুষ্ট হয়, ফসলের রোগ-বালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, খরা ও শীত সহনশীলতা বাড়ে, ফসলের গুণগতমান ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ে এবং ফলন বেশি পাওয়া যায়।

৯. রবি মৌসুমে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে ডিএপিসহ অন্যান্য রাসায়নিক সার সুষম মাত্রায় ব্যবহার করে অধিক ফসল উৎপাদন করুন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হোন।

আরোও পড়ুন: টমেটো চাষে সারের পরিমাণ ও পরিচর্যা

রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনে সার ব্যবহার কৌশল শিরোনামে সংবাদের তথ্য বাংলাদেশ কৃষি তথ্য বাতায়ন থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ