আব্দুল বাতেন, রাজশাহী প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতারা এখন রাজশাহীর আম বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন। সেই সঙ্গে কুরিয়ারের মাধ্যমে স্থানীয়রা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন রাজশাহীর সুস্বাদু আম।

স্থানীয় ও বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের পদচরনায় মুখরিত আম বাজারগুলো। আম বেচাকেনায় ব্যস্ত থাকায় কারও যেন একটু বিশ্রাম নেয়ার সময়ও নেই। সবমিলিয়ে জমে আমের বেচাকেনা।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, রাজশাহীর নগরীর উপকণ্ঠে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে সবচেয়ে বেশি আম কেনাবেচা হয়। এছাড়াও নগরীর সাহেববাজার, হড়গ্রাম, উপশহর, শালবাগানে বিভিন্ন জাতের আম নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বসে থাকেন। আবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকে ফেরি করেও আম বিক্রি করছেন।

বানেশ্বর বাজারের ইজারাদার মন্টু সরকার জানান, প্রশাসনের নির্দেশ পাওয়ার পর কৃষকরা আম আনা শুরু করেছেন। গত ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বানেশ্বর বাজারে আম আসতে শুরু করেছে। এখন বাজার জমজমাট। কারণ গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাত, রাণীভোগ, এবং স্থানীয় গুটি জাতের সব আম গাছে পেকে গেছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা প্রত্যেক দিনই গাছ থেকে আম নামিয়ে বাজারে নিয়ে আসছেন। বাজার এখন আমে জমজমাট। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ ট্রাক আম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে।

বানেশ্বর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ফরমান আলী জানান, গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১ হাজার থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। আর স্থানীয় গুটি জাতের সব আম ৬০০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এই বাজারে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৫০০ মণ আম আসছে। সব ব্যবসায়ী মিলে প্রায় ১০ ট্রাকের মতো আম দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন। উন্নতমানের অন্য জাতের আম উঠলে আর ৭ থেকে ৮ দিন পরেই ব্যাপকভাবে জমবে আমের বেচাকেনা।

আরেক বিক্রেতা খাদেমুল জানান, বাজারে এখন গুটি জাতের আম পর্যাপ্ত রয়েছে। এই সপ্তাহ গেলেই আরও বিভিন্ন জাতের আম উঠতে শুরু করবে। এখন গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাত, গুটি জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিমণ গোপালভোগ ১ হাজার থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত, ক্ষীরসাপাত ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, আর গুটি জাতের সব আম ৮০০, ৯০০, ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর শাল বাগান এলাকার ফল ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকের (বুধবার, ৩০ মে) বাজার অনুযায়ী এই বাজারে গোপালভোগ ২০০০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছি।’

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আম এখানে কিনে আমরাই পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকি। এজন্য ঢাকায় পাঠানোর জন্য সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস কেজিতে ১২ টাকা, এসএ পরিবহন ১৫টা ও অন্যান্য কুরিয়ার সার্ভিসে ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।’

করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার আলম হোসেন বলেন, ব্যাপকভাবে আম পাঠানো শুরু হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মানুষ আম পাঠাচ্ছেন। আমরা কেজি দরে ১২ টাকা করে ঢাকায় আম পাঠানোর রেট রাখছি।