নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ফল ও সবজি চাষের ওপর দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর,২০২০) সকাল থেকে উপজেলার হলরুমে এফএও’র অর্থায়নে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে “পুষ্টি সংবেদনশীল কৃষি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারে বসতবাড়িতে সবজি ও ফল চাষের ভূমিকা” শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: জামালপুরে বীজ উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ 

এতে উপজেলার শতাধিক কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে কারিগরি ও প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি উন্নয়নে জানান দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রত্যেকের মাঝে বসতবাড়ীতে ফল চাষের জন্য ৭ ধরনের মোট ১৫টি চারা এবং সবজি চাষের জন্য মোট ১২ ধরনের সবজি বীজ বিতরণ করা হয়।

এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার উপ-পরিচালক মোঃ শামছুল হক, অতিরিক্ত উপপরিচালক মোছাঃ উম্মে ছালমা, গোদাগাড়ী উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ মতিয়র রহমান। এছাড়া প্রকল্প কর্তৃপক্ষের মধ্যে ন্যাশনাল লিড এগ্রোনমিস্ট প্রফেসর ড. আব্দুল কাদের এবং ন্যাশনাল প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মোঃ রেজাউল করিম, উপজেলা কৃষি অফিসার (এলআর)সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: গোদাগাড়ীতে ত্রাণের সাথে সবজি বিতরণ করলো কৃষি বিভাগ

গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ মতিয়র রহমান এগ্রিকেয়ার.কমকে বলেন, সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সুবিধাভোগী হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে একশত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের পরিবারকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পটির ন্যাশনাল লিড এগ্রোমিষ্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি বিভাগের প্রফেসর ড মোঃ আব্দুল কাদের। প্রকল্পটি ২ বছরের জন্য দেশের রাজশাহী, কুড়িগ্রাম ও কুষ্টিয়া জেলার মোট ৬টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। যার মধ্যে রাজশাহী জেলার বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা রয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি