নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীতে এবার বাড়তে শুরু করেছে মসুর ডালের দাম। রাজশাহী নগরের লক্ষীপুর কাঁচাবাজার, সাহেববাজার, উপশহর নিউমার্কেট তিনটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা দানার মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে আট টাকা বাড়তি।

শুধু মসুর ডাল নয়, বেড়েছে চাল, ভোজ্যতেলের দাম। বাজারে আলু, পেঁয়াজ-কাঁচাসবজির দামে নাজেহাল মানুষ। এরইমেধ্যে বাড়লে গরীবের মাংস ডালের দাম। আজ সোমবার নগরীর বাজারের খুচরা দোকানে ছোট দানার মসুর ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও মোটা দানা ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

অথচ কয়েক সপ্তাহ আগে বাজারে ছোট দানার মসুর ডাল ৯০ টাকা এবং মোটা দানা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্যাকেটজাত মসুরের ডাল ১২৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

আরোও পড়ুন: রাজশাহীতে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু-পেঁয়াজ

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে ডালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ফলে খুচরা বিক্রেতারা পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে এই দাম বৃদ্ধিকেই দায়ী করছেন। ভারত আমদানি বাড়াতে ডালে শুল্ক কমানোর মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে। তাদের বাড়তি চাহিদার কারণে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বাজার বাড়ছে। ৫০ ডলারের মতো বেড়ে মসুর ডাল টনপ্রতি ৬২৫ ডলার ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে।

দেশে ডালের দাম বেশ কয়েক মাস স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে অন্যান্য সবজির দাম লাগামহীন হওয়ার কারণে প্রভাব পড়ে ডালে ও আলুর ওপর। তবে, বাজারে শীতকালীন সবজি উঠলেও কিনতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। প্রতিকেজি নতুন সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। এমনকি ১৬০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি শিম। দামে চড়া হওয়ায় নাগালের বাইরে এসব সবজির দাম।

নগরীর সাহেববাজারে টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ও পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ও গাজর ৮০ টাকা, শিম ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা এবং বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারে ছোট আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করেন বিক্রেতারা।

আরোও পড়ুন: এবার সিন্ডিকেটের কবলে রাজশাহীর আলুর বাজার

আলুর দাম আর কমেনি। সরকার নির্ধারিত দরেও আলু বিক্রি হচ্ছে না। রাজশাহীর প্রতিটি বাজারে প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। সরকার নির্ধারিত দর প্রতি কেজি ৩৫ টাকা।বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেনি এখোনো।

রাজশাহীতে ডিমের দাম উঠানামা করছে নিয়মিত। প্রতি হালি (৪টি) ফার্মের বাদামি ডিমের দাম ৩২ থেকে ৩৪ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৪৮ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়। সাহেববাজারের ডিম বিক্রেতা শামীম হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ডিমের দাম উঠানামা করছে। প্রতিহালিতে ৩-৪ টাকা কমবেশি হচ্ছে।

আমদানি করা পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম। দাম বেশি দেশি পেঁয়াজের। বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি বাজারেই চীনা রসুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

লক্ষীপুর বাজারে কেনাকাটা করতে আসা নোমান আলী এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, শীতের সবজি উঠেছে কিন্তু যে দাম! কিনতে পারছি না। শুধু সবজি বলে লাভ নেই। চাল, আলু, পেঁয়াজ সবকিছুর দাম বাড়ছেই। বলার কিছু নেই।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ