নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনাকালে নানারকম কাজে সময় পার করছেন অনেকে। রেসিপি শেখা কিংবা ভিডিও কনফারেনসে কথা বলাসহ নানাকাজে অবসর সময় ব্যয় করছেন। তাই বলে বাসায় বসে ঘাস চাষ? তার আবার মাটি ছাড়াই?

জমিতে ঘাস চাষের প্রচলিত ধারণা বদলে ঘরের ভেতরে মাটি ছাড়া কেবল পানি ছিটিয়ে পশুখাদ্য উৎপাদনের কাজটিই করছেন রাজশাহী নগরীর সওদাগর এগ্রো’র মালিক আরাফাত রুবেল। নিজের বাড়িতে বদ্ধ ঘরেই ঘাস চাষ করেছেন।

হাইড্রোফনিক (মৃত্তিকাবিহীন জল চাষ বিদ্যা) ফডার নামের এই প্রযুক্তিতে পশুখাদ্য উৎপাদনে খরচ কম। এই খাদ্যে বাজারের দানাদার ও মাঠের সবুজ ঘাসে প্রায় সব পুষ্টি গুন উপাদান রয়েছে। এই ঘাস তৈরিতে যেকোনো ধান গম অথবা ভুট্টা বীজ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘাস গাভীর জন্য অত্যন্ত পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। এতে বাড়ে গরুর-ছাগলের রোগ প্রতিরোধ খমতা বৃদ্ধি সহ দুধের পরিমান।

প্রতিদিন গরুকে পুষ্টিকর খাদ্য দেয়া বিরাট চ্যালঞ্জ। বাজারে দানাদার খাদ্যে গুণগত মান সব সময় ঠিক থাকে না। সে জন্য গরুর বদহজমসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া মাঠে লাগানো ঘাসে কৃমি ও শামুকের কারনে পশুর রোগব্যাধি হয়। এই ঘাস ব্যবহারে গরুর দুধে ননি ও ঘনত্ব ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

এক কেজি বীজ থেকে ৯ দিন পরে ৮ থেকে ১০ কেজি তাজা ঘাস পাওয়া যায়। পাঁচ বিঘা জমিতে যে পরিমাণ ঘাস উৎপাদিত হয়, তা মাত্র ৩০০ বর্গফুটের একটি টিনশেডের ঘরে সেই পরিমাণ হাইড্রোফনিক ঘাস উৎপাদন করা যায়। সেই কাজটিই করছেন তিনি। এভাবেও ঘাস চাষ করে লাভবান হবেন বলে আশাবাদী আরাফাত রুবেল।