ছবি: এগ্রিকেয়ার২৪.কম

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীতে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকেই চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। চালের খুচরা বাজারে দাম বৃদ্ধি না পেলেও পাইকারী বাজের বেড়েছে চালের দাম। এনিয়ে খুচরা বিক্রেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০) রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার, মনিচত্ব, কাদিরগঞ্জ চালের বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সুশিল স্টোর এগ্রিকেয়ার.কমকে জানান, আঠাশ চাল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দু- এক টাকা করে বৃদ্ধি পেয়ে শরনা ৪৬, জিরাশাল ৫২ টাকা ও বাসমতি ৬০ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬০, কাটারিভোগ সিদ্ধ ৭৫ টাকা, কাজললতা ৬০, কালোজিরা ৯০, চিনিগুঁড়া আতপ ৯৫, রাধুনি ৮০, মোটা আতপ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে ।

খুচরা চাল বিক্রেতা এ.পি. চাউল ভান্ডারের সত্তাধিকারী প্রকাশ প্রসাদ এগ্রিকেয়ার.কমকে জানান, পাইকারী বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে । কিন্তু খুচরা বাজারে চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেননা আমরা যে দামে চাল কিনেছি তার তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাজারে চাল বিক্রি করছি। আবার পাইকারী বেশি দরে চাল কিনলে তখন খচুরা বাজারে চালের দাম বাড়বে বলে জানান এই বিক্রেতা।

আরোও পড়ুন: রাজশাহীতে বেড়েছে ডিমের দাম, স্থিতিশীল চালের বাজার

এদিকে, বাজারে প্রতিকেজি তবে টমেটো ১০০ টাকা, আলু ৩২ টাকা, কাঁকরোল ৪৫ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, ঝিঙ্গে ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লাউ ২৫ টাকা প্রতিপিস, মুলা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও, এছাড়া প্রতি কেজি লাল শাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ টাকা ও সবুজ শাক ২০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ২৫ টাকা, প্রতি হালি লেবু ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা, কচু ৪০ টাকা, কচুর লতি ৩৫ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, প্রতিহালি সাদা ডিম ৩২ টাকা ও লাল ডিম ৩৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতিলিটার ১০০- ১১০ টাকা, বোতলজাত তেল ১১৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ