রাজশাহীর বাজারে অসময়ে তরমুজ

mahfujমাহফুজুর রহমান (রুবেল), সংবাদকর্মী, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর বাজারে অসময়ে তরমুজ, মিলছে সস্তা দামে। বসন্তের শুরু থেকেই রাজশাহীর বাজারে ক্রেতারা কিনতে পারছেন সুস্বাদু ফলটি।

রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, তরমুজের পসরা সাজিয়ে বিক্রেতারা বসে আছেন। শীতের আমেজ থাকায় ক্রেতাদের সংখ্যা কম। তবে দামে সস্তা রয়েছে।

এদিকে ক্রেতাদের সংখ্যা কম থাকায় হতাশ তরমুজ বিক্রেতারা। চুক্তি অনুযায়ী আগাম জাতের তরমুজ চাষিদের কাছ থেকে কিনে আড়তে ফেলে রেখে লোকসানের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

বিক্রেতারা জানান, মৌসুমী এ ফল রাজশাহীতে খুব অল্প পরিমাণে চাষ হয়। সেটা এখনও বাজারে আসেনি। দেড় মাস পর গ্রীষ্মকাল শুরুর দিকে রাজশাহীতে উৎপাদিত তরমুজ বাজারে পাওয়া যাবে বলে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরেই রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর, রেলগেট, রেলস্টেশন, শিরোইল কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে।

মহানগরীর শালবাগানের পাইকারি আড়ত থেকে এসব তরমুজ কিনে বাজারে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছেন ফল ব্যবসায়ীরা। খুচরায় প্রতি কেজি ৫০ টাকা দর হাঁকা হচ্ছে এসব তরমুজের।

আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০) সকালে নগরীরর সাহেববাজারে তরমুজ কিনছিলেন বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা আশিকুল ইসলাম আশিক। তিনি বলেন, ‘বসন্তের মাস শুরু এখনও শীত পড়ছে। এজন্য তরমুজ খাওয়া হচ্ছে না। তবে নতুন ফল আর আমার মেয়ে তরমুজ খুব পছন্দ করে। তাই ফলটি দেখে কিনলাম’।

বিক্রেতা বলেন, ‘অন্য বছরগুলোর চেয়ে অনেক আগেই বাজারে তরমুজ এসেছে’। সেই হিসেবে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছেন অনেক চাষি। আমরাও লাভের আশায় পাইকারি দামে কিনে খুচরা বিক্রি করছি। তবে বেশ শীত থাকায় বিক্রি নেই বললেই চলে। আবহাওয়া গরম হলে বিক্রি জমবে বলে আশা করছেন তিনি।

তিনি জানান, আগাম জাতের কালা, বাংলালিংক, গ্রামীণ, আনারকলি, অলক্লিন, চায়না-২, এশিয়ান-২, বালিসহ বিভিন্ন জাতের তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। এ অঞ্চলে গরম বেশি পড়ায় তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকে।

লাভবান হতে ব্যবসায়ীরা মৌসুম জুড়ে তরমুজ ব্যবসায় ঝুঁকছেন, তবে এবার আবহাওয়া ভিন্ন থাকায় তারা লোকসানের মুখে পড়তে পারেন বলে মন্তব্য করেন এ বিক্রেতা।

রাজশাহীর বাজারে অসময়ে তরমুজ, মিলছে সস্তা দামে শিরোনামে রাজশাহী  থেকে লিখেছেন সংবাদকর্মী, মাহফুজুর রহমান (রুবেল)।