নওগাঁ প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: খাদ্য গুদামে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক ধান সংগ্রহের বিষয়টি কৃষকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। লটারি ছাড়াই প্রকৃত কৃষক গুদামে ধান দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম।

তিনি আরোও জানান, চাল সংগ্রহে মিলারদের সাথে চুক্তির মেয়াদ বাড়লো আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মিলারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়ানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর ২০২০) বিকেলে নওগাঁয় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মিলারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারো সময় বাড়ানো হয়েছে। এরপর আর বাড়ানোর সুযোগ নেই।

এর আগে গতকাল চাল সংগ্রহে মিল মালিকদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আমন সংগ্রহ উপলক্ষে এক সভায় মিল মালিকরা মোট লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ (এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন) চাল সংগ্রহের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাক্ষান করেন মন্ত্রী।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই চালের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছিলাম। বাজারে ধানের দাম বেশি। বেশি দামে ধান কিনে চাল উৎপাদন করে গুদামে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ চাল গুদামে সরবরাহ করতে খাদ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বাজারে নতুন আমন ধানের দাম বেশি। গুদামে চাল সরবরাহ করতে যে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে তা চলমান থাকলে মিল মালিকদের জন্য সুবিধা হবে। যখন ধানের বাজার স্বাভাবিক হবে তখন মিলাররা চাহিদামতো গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে মিলারদের কাছ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে ছয় লাখ মেট্রিকটন চাল এবং ২৬ টাকা কেজি দরে কৃষকদের কাছ থেকে দুই লাখ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর আমন সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। ১৫ নভেম্বর চুক্তির শেষ সময় থাকলেও পরে মিল মালিকদের অনুরোধে ২৫ নভেম্বর ধার্য করা হয়।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ