নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রমজান মাস আসার প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকেই সরব হয় মাংস ব্যবসায়ীরা। রোজা শুরুর পূর্বে শবে বরাতকে কেন্দ্র করে গরুর মাংসের দাম বেড়ে যায়। জনগণ স্বাভাবিকভাবে এক-দুদিন দাম বৃদ্ধিকে মেনে নিলেও এখনও শবে বরাতের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।

রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বেড়েছে তেল, ডাল, চিনিসহ সকল প্রকার ফলের দাম। বেড়েছে মুরগির দামও। এসব প্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবারই প্রথম এত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। রোববার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে গেছে, গত তিন সপ্তাহ ধরে গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: সস্তায় গরুর মাংস, কেজি সাড়ে ৫০০

হাতিরপুল বাজারে মাংস কিনতে আসা রাশিদুল বলেন,  বাজারে সব জিনিসের দাম চড়া। মাংস কিনতে এসে দেখি ৭০০ টাকা কেজি। ছেলে-মেয়ের আবদার মেটাতে আসা। কিন্তু তা আর হলো না। ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস! এক কেজি মাংসের মধ্যে ৩০০ গ্রাম হাড়। আসলে কেন দাম বাড়ছে কেউ বলছেনা।

মাংস বিক্রেতা আফজাল জানান, ৩-৪ কেজি একেসাথে নিলে ৬৬০ টাকা করে দেওয়া যাবে। কিন্তু এক কেজি নিলে ৭০০ টাকায় বিক্রি করছি। গরুর দাম বেড়েছে, তাই মাংসের দামও বেড়েছে। সমস্যা হচ্ছে, আগে প্রতিদিন বিক্রি করতাম ৩ থেকে ৪ মণ। এখন মাংসের দাম বাড়ায় বিক্রি কম হচ্ছে, সারাদিনে ২ মণ বিক্রি করাও কষ্টকর হচ্ছে।

পড়তে পারেন: ৬৫০ থেকে একলাফে ১০০০ টাকা কেজি গরুর মাংস

এদিকে রাজশাহীর বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬০০ থেকে ৬৮০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরুর দাম বেড়ে গেছে। আগের তুলনায় কম দামে গরু কিনতে পারলে মাংস কম দামে দেওয়া যেত। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে গেছে। আমাদের লাভও কমে গেছে।

মাংসের এই চড়া দামের ব্যাপারে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, রোজার মাসে মাংসের কেজি ৭০০ টাকা হওয়া একদমই উচিত নয়। এমনিতে সব জিনিসের দাম বাড়তি। তবে এটা সত্যি, মাংস ব্যবসা এখন আর খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে নেই। এক শ্রেণির সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে মাংসের বাজারের নিয়ন্ত্রণ।

সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কঠোরভাবে বাজার তদারকি না করলে অচিরেই মাংসের কেজি এক হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকবে। যে হারে গরুর দাম বাড়ছে, তারচেয়ে অনেক বেশি হারে কেন মাংসের দাম বাড়ছে। এটার প্রতি নজর দেওয়ার পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিৎ।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ