পুঠিয়া প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর পুঠিয়ায় দীর্ঘ ২০ বছর যাবত পানি নিস্কাশনের সরকারী খালে পাড় বেধে মাছ চাষ করছিল একটি প্রভাবশালী মহল। দীর্ঘ দু-দশক পর দখলমুক্ত হলো খালটি।

এতে করে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় লোকজনকে জলাবদ্ধায় দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনরে নজরে আসলে গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে খালটির উপর তৈরী করা বাধ কেটে পানি প্রবাহের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ র্মাচ) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের মাহেন্দ্রা কোনাপাড়া এলাকায় বেদখল সরকারি খাল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোমানা আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।

বেলপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর থেকে পানি প্রবাহের সরকারী খালে বাধ দিয়ে এলাকার একটি সঙ্ঘবদ্ধ প্রভাবশালী মহল মাছ চাষ করে আসছিল। গত ৫ বছর থেকে ওই খালের মধ্যে পুকুর খননের হিড়িক পড়ে যায়। সরকারি এই খাল দখল করে কমপক্ষে ৪৫ থেেক ৫০ টি পুকুর খনন করা হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, এলাকার মাসুদ আলী, মজিবর রহমান, ওমরসহ আরো কয়েকজন কর্থিত প্রভাবশালী ব্যক্তি খালের উপর অবৈধভাবে বাধ দিয়ে পুকুর খনন করেছে। এতে করে র্বষা মৌসুমে চলাচলের পথ বন্ধ হওয়ায় সাধারন মানুষ দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় থাকেন। কৃষকরা মাঠে সময়মত কোনো ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না। বেশির ভাগ বাড়ি গুলোতে পানি ওঠায় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

এ বিষয়ে খাল দখলকারী মাসুদ আলী ও মজিবর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো বক্তব্য দিবেন না বলে জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, র্দীঘ কয়েক বছর থেকে এই এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে সরকারি খাল দখল করে বাধ নির্মাণ করেছেন। তারা ওই দখলকৃত খালে মাছচাষ করতে খনন কাজ করেছেন। জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার কৃষকরা সময়মত ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে শতাধিক পরিবার পানি বন্দি থাকতে হতো। এলাকার জীবনমান স্বাভাবিক রাখতে আজ দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পানি নিস্কাশনের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ