আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন বেড়েছে। অক্টোবরের পাম অয়েলের মজুদ দাঁড়াতে পারে ২৫ লাখ ৩০ হাজার টনে, যা এর আগের মাসের তুলনায় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের পর এটিই হতে যাচ্ছে সর্বোচ্চ মজুদ। ফলে সর্বোচ্চ পাম ওয়েল মজুদে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে দেশটি। এমনই খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

রয়টার্সের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে পাম অয়েল সংগ্রহের সবচেয়ে ভালো সময় চলছে। এ কারণে উৎপাদনের পরিমাণ ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে গত মাসে উৎপাদন এক মাসের ব্যবধানে ৩ শতাংশ বাড়তে পারে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৮ লাখ ২০ হাজার টনে।

দেশটিতে তুলনামূলক কম আমদানি করতে হয়েছে পণ্যটির। উৎপাদন বাড়ায় গত মাসে মজুদ বেড়ে তিন বছরের সর্বোচ্চে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ১০ নভেম্বর মালয়েশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন মজুদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

ইন্দোনেশিয়ায় নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পাম অয়েল

হটাৎ বছরের সর্বোচ্চ দামে উঠেছে পাম ওয়েল

১৫ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম

তৃতীয় দফায় কমলো মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম

পাঁচ মাস ধরেই মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী। তবে গত মাসে উৎপাদন পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে ভালো। এ সময়ের উৎপাদন দুই বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চলতি ও আগামী মাসে উৎপাদন কমতে পারে। কারণ বছরের শেষ সময়ের বৃষ্টিপাতে এ সময় পাম ফল সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

এদিকে উৎপাদন ও মজুদের পাশাপাশি রফতানিতেও প্রবৃদ্ধি দেখেছে মালয়েশিয়া। গত মাসে দেশটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করে। এক মাসের ব্যবধানে রফতানি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে আমদানি কমেছে ১১ দশমিক ২ শতাংশ।

কার্গোর তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এসজিএস জানায়, গত মাসে চীন ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণে ক্রয় বাড়ানোয় রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি এসেছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, পাম অয়েলের বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা কাটছেই না। শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারক দেশ চীনে লকডাউন ও নানা বিধিনিষেধের কারণে চাহিদায় গতি ফিরছে না। অন্যদিকে ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানি ব্যয় ও অর্থনৈতিক মন্দাও বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করেছে।

পণ্যবাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এলএমসি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান জেমস ফ্রাই বলেন, পাম অয়েলের সবচেয়ে বড় আমদানি বাজার ভারত, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু বর্তমানে এসব দেশে পাম অয়েলের চাহিদায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। চীনে চাহিদায় উত্থান-পতন দেখা দিলেও ভারতে তা অব্যাহত বাড়ছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ