নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার৪.কম: সম্প্রতি দক্ষিণ অঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে কৃষিতে ক্ষতি ৩৪৭ কোটি টাকা, দেড় লাখ কৃষকের স্বপ্ন পুড়েছে। দশ হাজারের বেশি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ সোমবার (৩১ অক্টোবর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে। কৃষিতে ৩১ জেলার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ অধিদফতর। তবে কৃষকরা বলছেন, প্রায় সারাদেশেই সিত্রাংয়ের প্রভাবে কৃষিতে কম বেশি ক্ষতি হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বরাত দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, সিত্রাংয়ে ৩১ জেলায় ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। (যা ৩১ জেলার মোট ফসলি জমির ০.৪০% মাত্র)। টাকায় ৩৪৭ কোটি টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে আমন ৫ হাজার ৬০০ হেক্টর, সবজি ২ হাজার ৮০০ হেক্টর, পানবরজ ৮৮ হেক্টর। তবে টাকার দিক থেকে পানবরজ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার টাকার অঙ্ক ১৬২ কোটি টাকা।

সার্বিক বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন, কৃষকের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হয়ে থাকে। এই প্রণোদনার বড় অংশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে দেয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কৃষিকর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলসহ ১০ নির্দেশনা

তিনি জানান, আমরা উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত কৃষকের মাঝে দিবো। এছাড়া বীজসহ নানা উপকরণ সহায়তা দেয়া হবে। তাছাড়া চলতি মৌসুমে আমনের আবাদ এবার বেশি হয়েছে। ফলে খুব বেশি সমস্যা হবে না। তারপরও কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে রয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে।

এদিকে এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধিরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে কৃষিতে। অনেক জেলার ফসল বিশেষ করে ধান ও সবজি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় পানেরবরজ অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঝড় বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি; কৃষকের মাথায় হাত

সিত্রাংয়ে কৃষিতে ক্ষতি ৩৪৭ কোটি টাকা, দেড় লাখ কৃষকের স্বপ্ন পুড়েছে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়াতে হবে। নইলে কৃষকেরা অনেক বড় ক্ষতিতে পরবেন। এতে দেশে খাদ্য উৎপাদনেও বড় ধাক্কা লাগতে পারে। তাই কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে।