যশোর প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: জলাবদ্ধতায় প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে ফসল ফলাতে পারছে না যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ভোগের বিলের চাষীরা। বর্ষা হলে জলবদ্ধতায় চাষের স্বপ্ন ফিকে হয় ভুক্তভোগী চাষীদের।

দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী খাল খননের দাবি জানিয়ে এলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। জলবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন কাজ শুরু করেছেন এলাকার চাষীরা।

দীর্ঘদিনের সমস্যায় পতিত যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ‘ভোগের বিল’ জলাবদ্ধতা। তা নিরসনে এগিয়ে আসেনি কেউ। ফলে বর্তমানে প্রায় ১০০০ বিঘা জমি রয়েছে পানির নিচে। পানি না সরাতে পেরে চরম ক্ষতির মুখে পাঁচ গ্রামের প্রায় দেড় হাজার কৃষক। এ কারণে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খননের কাজ শুরু করেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। এর আগে এলাকায় মাইকিং করে খনন কাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এতে অংশ নেন অর্ধ শতাধিক কৃষক। দিনব্যাপী চলে তাদের এই কর্মযজ্ঞ। কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান তারা।

পড়তে পারেন: আত্রাইয়ে জলাবদ্ধতায় ৬ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি

উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শেখেরবাতান, সদুল্যাপুর, ধুপখালি, শালবরাট ও আজমেহেরপুর গ্রামে নিয়ে ভোগের বিলের অবস্থান।

শেখের বাতান গ্রামের কৃষক কওছার মোল্যা জানান, ভোগের বিলে ১০ বিঘা জমি রয়েছে তার। পানি জমে থাকায় চাষের প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। গত বছর বর্ষা কম থাকায় কিছু জমিতে চাষাবাদ করতে পারলেও এবার চাষ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।

একই গ্রামের কৃষক হারুন-অর-রশিদ জানান, ‘বাপ দাদার আমল থেকে ক্ষতির উপর আছে চাষীরা। বর্ষা কম হলে চাষ মোটামুটি চাষাবাদ হয়। বেশি হলে হাজার হাজার বিঘা জমি পানিতে ডুবে যায়।

পড়তে পারেন: শত বছরের পানি নিস্কাসনের পথ বন্ধ, হুমকিতে ক্ষেতের ফসল

ধুপখালি গ্রামের কৃষক শফিয়ার রহমান জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন করায় উপরের কিছু জমিতে চাষাবাদ করা যাবে। তবে নিচু জমিতে পানি থাকায় চাষ করা যাচ্ছে না। তার তিন বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে আছে জানান তিনি।

ভেগের বিলের এ সমস্য নিয়ে স্থানীয় রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর রশিদ স্বপন জানান, ভোগের বিলের পাশের নালাটি ব্যক্তি মালিকানার। এ জন্য সরকারিভাবে খনন কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে এ সমস্যা নিরসনে আমি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি।

বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম আবুজর গিফারী জানান, সমস্যার সমাধানে সরকার কে জানানো হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ