হিলি প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে হু-হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এই মসলা পণ্যটি পাইকারিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে হটাৎ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। ভালো মানের পেঁয়াজের দাম চড়া হলেও অপেক্ষাকৃত নিন্মমানের পেঁয়াজের দাম তুলনায় সস্তা।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত ও দামে লাগাম টানতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে বন্দর দিয়ে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানি হলেও দাম আগের তুলনায় বাড়তি।

পড়তে পারেন: ৫ বছরের সর্বনিন্মে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম

হিলি বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, তিনদিন আগেও প্রতি কেজি ছোট আকারের পেঁয়াজ ১৮-১৯ টাকা এবং বড় ২২-২৩ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ছোট আকারের পেঁয়াজ ২২-২৩ টাকা এবং বড় ২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ কেজিতে দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা। হিলি বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ১৬ টাকা। কিছু খারাপ মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রাকিব হোসেন জানান, হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ৮-১০ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। কারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এ উপলক্ষে ভারতে খেত থেকে কৃষক পেঁয়াজ উত্তোলন বন্ধ রাখবেন। তেমনি পেঁয়াজ মোকামগুলোও কয়েক দিন বন্ধ থাকবে। ফলে দাম বাড়তি হওয়া স্বাভাবিক।

পড়তে পারেন: পেঁয়াজের কেজিতে বাড়লো ৮ টাকা, আমদানি অব্যাহত

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত পেঁয়াজ দেশের বাজারে বিক্রি হয়। এসব পেঁয়াজ কিছুটা নিম্নমানের। এ কারণে এগুলোর দামও তুলনামূলক দাম কম। পূজার ছুটিতে এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। যার কারণে বন্দরেই আমদানীকৃত পেঁয়াজের দাম বেশি। ফলে খুচরা বাজারেও দাম বাড়ছে। হয়ত আরো দাম বাড়বে।

এ সময় দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ আসবে না। বাজারে এর চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন মোকামে এরই মধ্যে পেঁয়াজ কিনে মজুদ করা হচ্ছে। ফলে বাজারে সরবরাহ অপ্রতুল হয়ে উঠছে। আগের চেয়ে ডলারের দাম বাড়ায় বাড়তি দামে ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এ কারণেও পণ্যটির দাম বাড়ছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

এ্রগ্রিকেয়ার/এমএইচ