অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি শুকনা মরিচের কেজিতে ৬০-৬৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে মসলাপণ্যটির দাম।

ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতে পণ্যটির দাম বেশি হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। এ কারণেই দেশীয় বাজারে আমদানীকৃত শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের মসলা পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজে গতকাল শুকনো মরিচ পাইকারি বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৩৬৫-৩৭০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৩০০-৩১০ টাকায়।

পড়তে পারেন: ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি, কেজিতে কমলো ৫০ টাকা

প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতে শুকনো মরিচের দামও বেড়েছে, যা প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারে। তিনি বলেন, সম্প্রতি শুকনো মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্যটির আমদানিও কমে গিয়েছে।

এদিকে পাইকারিতে দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের অন্যতম মসলাপণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স মামা ভাগ্নে ভান্ডারে গতকাল শুকনো মরিচ খুচরা বিক্রি হয় ৪২০-৪৩০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগেও পণ্যটি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩৭০-৩৮০ টাকা দরে। ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৭০-৭৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

পড়তে পারেন: দাম বাড়ছে ভারতীয় রসুন-মরিচের

অন্যদিকে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গিয়েছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাসে এ বন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯ টন, যার মূল্য ৪২ কোটি ৪ লাখ টাকা। আমদানি থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময় শুকনো মরিচ আমদানি হয় ২ হাজার ৭৫ টন, যার মূল্য ২৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব হয় ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, শুকনো মরিচ আমদানিতে সরকারের বছরে উল্লেখযোগ্য হারে রাজস্ব আয় হয়। তবে গত অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় শুকনো মরিচ আমদানি কিছুটা কমেছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ