অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ১৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে শর্তসাপেক্ষে ১৭ হাজার টন ভাঙা চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিয়েছে সরকার।

বুধবার (১৭ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

এর আগে খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।

বেশ কয়েকটির শর্তের মাধ্যমে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু চাল এখনও বাজারে আসেনি। বেশিরভাগই রয়েছে বন্ধ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করা হয়। আর বাকিদের বরাদ্দের চাল আমদানির করে বাজারজাতের সময় বেধে দেয়া হয়েছে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত। এখন নতুন করে আবার আমদানির জন্য বরাদ্দ দিচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে এলসি খুলতে হবে। এলসি খোলা সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারককে এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পুরো চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়াও বরাদ্দে অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) জারি বা ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা যাবে না। প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে না পারলে বরাদ্দ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে বলে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ