অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভারতে অন্তত সামনের ৩ মাসের মধ্যে কমবে না ডিমের দাম, বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র ডিম নয়। আলু, পেঁয়াজের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ভারতে চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত একটি কেন্দ্রীয় সরকারি পরিসংখ্যান দেশের অর্থনীতির বিষয়ে আশঙ্কা করেছেন। ৩ মাসের মধ্যে কমবে না ডিমের দাম, বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

ভারতের সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, দেশে এখন খুচরো মুদ্রস্ফীতি (‘রিটেল ইনফ্লেশন’) চলছে। তা আরও বাড়বে। আগামী অন্তত তিন মাস তো বটেই। গত ৬ বছরে দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সর্বাধিক হয় অক্টোবরে। ৭.৬১ শতাংশ।

আরোও পড়ুন: রাজশাহীতে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০, বাড়েনি ডিমের দাম

সরকারি তথ্যাদি থেকে বেরিয়ে আসছে দেশে এখন যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি চলছে তার ৪৬ শতাংশের দায়-ভাগ বর্তাচ্ছে আলু, পেঁয়াজ, ডিম, মাংস, টম্যাটোর উপর। এই সবক’টি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামই গত কয়েক মাস যাবৎ আকাশছোঁয়া। রোজই বাড়ছে তাদের দাম। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানের ইঙ্গিত সেই দাম খুব শীঘ্র কমবে এমন আশা তো নেই-ই, বরং আগামী তিন মাস তা আরও বাড়ারই সম্ভাবনা বেশি।

খুচরো মুদ্রাস্ফীতি অক্টোবর থেকে কেন বাড়তে শুরু করেছে দেশে তারও কয়েকটি কারণ জানানো হয়েছে সরকারি পরিসংখ্যানে। তাদের মধ্যে অন্যতম অতিবৃষ্টি ও ভোজ্য তেলের আমদানির আরও মূল্যবান হয়ে ওঠা। ফলনের মুখে অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, পরের ফসলের বীজেরও ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। বাজারে, দোকানে আনাজপাতির দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে মূলত অতিবৃষ্টির জন্যই।

ওই পরিসংখ্যান জানিয়েছে দেশে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি হু হু করে বেড়ে গিয়ে গত অক্টোবরে ১১.০৭ শতাংশে পৌঁছেছে। গত ৯ মাসে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি দেশে এতটা বাড়েনি।

৩ মাসের মধ্যে কমবে না ডিমের দাম, বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় বাংলাদেশেও একটা প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভারত থেকে আমদানির ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার। এক্ষেত্রে ভারতে পেঁয়াজের দাম চড়া থাকলে বাংলাদেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ আশানুরুপ দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন চাষিরা।

৩ মাসের মধ্যে কমবে না ডিমের দাম, বাড়ার সম্ভাবনা সংবাদের তথ্য আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ