অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশের বাজারে ক্রমাগত চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করতে হচ্ছে। বাজারে চালের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে গত চার মাসে ২৫৭ কোটি টাকার বেশি চাল আমদানি হয়েছে।

আমদানিকারকরা এ সময় নাজিরশাইল, মিনিকেট, স্বর্ণা, রত্নাসহ বিভিন্ন জাতের চাল কিনেছেন। গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় আমদানি প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না। এ কারণে আমদানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া বাজারে নতুন চাল ওঠার কারণেও আমদানিতে নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এ বন্দর দিয়ে ৬৬ হাজার ৩২ টন চাল আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৮ হাজার ৩১৩ টন, আগস্টে ১১ হাজার ১৭৬ টন, সেপ্টেম্বরে ৩০ হাজার ৮২৩ টন এবং অক্টোবরে ১৫ হাজার ৭১৭ টন। যার মূল্য ২৫৭ কোটি ৩ লাখ টাকা। রফতানীকৃত এসব চাল থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

চালে বাড়তি, স্বস্তি নেই সবজিতে

মন্দা আতঙ্কে বাড়ছে চালের বাজার

কার্নেল পদ্ধতিতে চালে মেশানো হবে পুষ্টি!

নতুন কৌশল পুলেট পালনে দুই চালানে ৫ লাখ লাভ মোমেনের

অন্যদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছিল ৮৫ হাজার ৩১২ টন। আমদানীকৃত এসব চালের মূল্য ছিল ২৯৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। যেখান থেকে সরকার রাজস্ব আয় করে ৩৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে গত অর্থবছরের তুলনায় ১৯ হাজার ২৮০ টন আমদানি কমেছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী অমল কুমার জানান, চাল, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন প্রকার কৃষিপণ্য আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় চাল। এর মধ্যে রয়েছে চিকন নাজির, মিনিকেট এবং মোটা জাতের স্বর্ণা ও রত্না। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাংকে এলসি জটিলতার কারণে চাল আমদানি কমে গিয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় আমদানি অর্ধেকে নেমেছে। তাছাড়া দেশীয় বাজারে নতুন আমন চাল ওঠার কারণেও আমদানি কমেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজারের চাল ব্যবসায়ী মো. জাহিদ হোসেন বলেন, আমদানীকৃত মোটা স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৯-৫০ টাকায়। চিকন রত্না প্রতি কেজি ৫৪-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন চাল ওঠার কারণে আমদানি চালের চাহিদা কিছুটা কমতির দিকে।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনে দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আমীর নেয়ামুল হাসান জানান, চলতি অর্থবছরের গত চার মাসে চাল আমদানিতে রাজস্ব এসেছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তবে গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় আমদানি কমেছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ