পুকুরে নিয়মিত প্রোবায়োটিকস প্রয়োগ

মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন রাশেদ, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: প্রিয় মাছ চাষি আজ পুকুরে নিয়মিত লবণ ও জীবণুনাশক প্রয়োগ পদ্ধতি ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবো।

মাছ ও চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনায় মৎস্য বিশেষজ্ঞদের প্রধান পরামর্শ হচ্ছে, ‘Prevention is better than treatment’ অর্থাৎ রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার চাইতে প্রাক রোগ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থাপনা সবসময়ই উত্তম।



মাছ দুর্বল হয়ে পড়লে বা দেহের কোথাও আঘাত প্রাপ্ত হলে কিংবা পুকুরের সামগ্রিক পরিবেশের গুণগতমানের অবনতি ঘটলে, পুকুরের বাস্তুতন্ত্রে উপস্থিত থাকা ক্ষতিকর অণুজীব দ্বারা প্রায়শই মাছ বা চিংড়ি আক্রান্ত হয়।

যার কারণে মাছ ও চিংড়িতে স্বল্প বা মাঝারি এমনকি বড় আকারে মড়ক লাগতে পারে এবং এতে প্রায়ই খামারিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এ সকল ক্ষেত্রে রোগের চিকিৎসায় খরচের পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে।

তাই পুকুরে প্রায় নিয়মিত বিরতিতে মৎস্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসারে লবণ ও জীবাণুনাশক প্রয়োগ করা উচিত। তাতে ক্ষতিকর অণুজীবের উপস্থিতি কমে আসবে এবং অণুজীব ঘটিত রোগ-বালাইয়ের সম্ভাবনাও কমে আসবে।

মৎস্য চাষে বর্তমানে বিভিন্ন লবণের পাশাপাশি অ্যামোনিয়া, ক্লোরিন, অ্যালডিহাইড, আয়োডোফোর, এলকোহল, অক্সিডাইজিং এজেন্টস, ফেনল জাতীয় বিভিন্ন জীবাণুনাশকের সন্তোষজনক ব্যবহার হচ্ছে। তন্মধ্যে প্যাথোনিল, জিপিসি৮, জার্ম-ফ্রি ও গুডক্লিনার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুন: পুকুরে নিয়মিত চুন বা জিওলাইট প্রয়োগ পদ্ধতি ও গুরুত্ব

পুকুরে নিয়মিত লবণ ও জীবণুনাশক প্রয়োগের গুরুত্ব সংবাদটির লেখক; মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন রাশেদ, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাকুয়া) আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লি.।

পাঠক মাছ নিয়ে কোন ধরণের সমস্যা বা পরামর্শ দরকার হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ম্যাসাঞ্জারে জানাতে পারেন। আমরা আপনার সমস্যা বিশেষজ্ঞদের কাছে তুলে ধরে তার সমাধান জানাবো। এছাড়া আপনার অভিজ্ঞতা, পরামর্শ এবং মাছ চাষের খবর তুলে ধরতে পারেন।