নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ৬৪টি বিলুপ্তপ্রায় মাছের পুনরুদ্ধারকৃত জাতগুলোকে প্রথমে অভয়াশ্রমে ছাড়ার পর রেণুপোনা উৎপাদনের মাধ্যমে নদীতে ও দেশের বিভিন্ন জলাশয়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

এসময় তিনি, দেশের মৎস্যসম্পদরক্ষার জন্য কারেন্ট জালসহ সকল প্রকার অবৈধ জাল উচ্ছেদের প্রয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএফআরআই) সংবাদকর্মীদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বিএফআরআই’র মুক্তাচাষ, কুঁচিয়া, স্বাদুপানির শামুক, তেলাপিয়া, মহাশোল, পাঙ্গাস, পাবদা, গুলশা, কৈসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের কৃত্রিমপ্রজনন ও পোনাসংরক্ষণ কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ইলিশ মাছসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদনবৃদ্ধির জন্য জাটকা ও মা ইলিশ নিধনরোধের প্রশংসা করেন এবং এসমস্ত কার্যক্রম জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

গবেষণার মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই বিলুপ্তপ্রায় ১৮ প্রজাতির মাছের জিনপুল সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পরে তিনি জেলা মৎস্য দপ্তরের অফিস প্রাঙ্গনে বিভাগীয় মৎস্য দপ্তর এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।

তিনি স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতার সহিত নিজ নিজ দায়িত্বপালনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সেবা করার জন্য সকলের প্রতি নির্দেশ দেন এবং কোনো রকম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলে সকলকে সর্তক করে দেন।