প্রতিনিধি, দিনাজপুর: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণেই একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম পাইকারিতে কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমেছে।

হিলি বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা আরমান হোসেন বলেন, দেশের বাজারে সব কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির ফলে কিছুটা কমেছে দাম। দেশের কৃষকরা কাঁচামরিচ উৎপাদন করে থাকে। যখন ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ হয় তখন দেশের কৃষকরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাধরণ ভোক্তাদের অসুবিধায় পড়তে হয়। ভারত থেকে নিয়মিত কাঁচামরিচ আমদানি হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির ফলে কমতে শুরু করেছে দাম। বর্তমানে ভারতীয় কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। তবে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। এখন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

হিলি স্থলবন্দরের মরিচ ব্যবসায়ী হাসিবুল ইসলাম জানান, বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে দাম কমে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সররবাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর থেকে বন্দর দিয়ে ভারতের কাঁচা মরিচ আসছে। তবে দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদা ও ভালো দাম পাওয়ায় আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিল আমদানিকারকরা।

এতে গত বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে একদিনেই ২৪টি ট্রাকে ৯৬ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। ওই দিন বন্দর থেকে পাইকাররা কাঁচা মরিচ কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠিয়েছেন। বন্দর থেকে যে দামে ক্রয় করে নিয়ে গেছেন অনেককে তার চেয়ে কম দামে মোকামে বিক্রি করতে হয়েছে।

পড়তে পারেন: ১৫ দিনে শুকনা মরিচের কেজিতে বাড়লো ৬৫ টাকা

এতে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধের পর শনিবার বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হলেও মোকামগুলোতে চাহিদা কিছুটা কমে যায়। তাই দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার সাত ট্রাকে ১৮ হাজার ৯৫০ কেজি কাঁচা মরিচ এসেছে। আজও আমদানি অব্যাহত রয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ