চাষাবাদ ও করণীয় ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ডিসেম্বরের শুরু থেকে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। রাতের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে আবার দিনে কুয়াছান্ন অবস্থা বিরাজ করে। ফলে ছত্রাকজনিত রোগ অনুকূল আবহাওয়া পাওয়ায় মড়কে রুপ নিতে পারে। তাই আলুর মড়ক রোগ প্রতিরোধের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা জানা প্রয়োজন।
এরকম আবহাওয়া আলুর মোড়ক বা নাবী ধ্বসা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এখন দরকার সতর্কতা ও সময় উপযোগী পদক্ষেপ।
রোগের লক্ষণ: Phytothora infestans ছত্রাকের আক্রমনে এ রোগ হয়। পাতার উপর ফ্যাকাসে অথবা ফিকে সবুজ রংয়ের গোলাকার অথবা এলোমেলো পানি ভেজা দাগ পড়ে। কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘলা আবহাওয়ায় দাগ সংখ্যা ও আকার দ্রুত বাড়তে থাকে।
বাদামী থেকে কালচে রং ধারণ করে। পাতার নীচে সাদা সাদা পাউডারের মত ছত্রাক দেখা যায়। রোগের আক্রমণ বেশী হলে গাছের কান্ডে ও টিউবারে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
নিম্ন তাপমাত্রায় এবং কুয়াশাযুক্ত আবহাওয়ায় আক্রান্ত গাছের পুরো লতাপাতা ও কান্ড পচে যায় এবং ২-৩ দিনের মধ্যে সমস্ত গাছ মেরে ফেলতে পারে। আক্রান্ত ক্ষেতে পাতা পচার গন্ধ পাওয়া যায়, এ সময় মনে হয় যেন জমি ফসল পুড়ে গেছে। রোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার ৩-৪ দিনের মধ্যে দ্রুত মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে ।
এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:
আলুর পাতা মোড়ানো রোগের লক্ষণ ও সমাধান
যেভাবে আলুর ভারটিসিলিয়াম ও স্কার্ফ রোগ দমন করবেন
দেশী আলুর উৎপাদন বৃদ্ধিতে কিছু কৌশল
রোগ দেখা দেয়ার পূর্বে করণীয়: সুস্থ, সবল ও রোগ সহনশীল প্রতিরোধী জাত ব্যবহার কর তে হবে। নীরোগ বীজ ব্যবহার করতে হবে। একই জমিতে বার বার আলুর চাষ করা যাবে না। সুষম হারে সার ও সেচ প্রয়োগ করতে হবে এবং উত্তম নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।
বীজ বপনের পূর্বে থিরাম+কার্বোক্সিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রোভেক্স-২০০ (লারসেন কোম্পানী) প্রতি কেজি বীজের জন্য ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে শোধন করে নিতে হবে।
রোগ দেখা দেয়ার পর করণীয়: রোগের অনুকুল পূর্বাভাস পাওয়া মাত্র প্রতিরোধক হিসাবে ২ গ্রাম ম্যানকোজেব + মেটালেক্সিল (যেমন: রিডোমিল গোল্ড বা করমি বা মেটারিল) জাতীয় ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
এগ্রিকেয়ার/এমএইচ