নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহীর বাজারে হটাৎ গরু ও খাশির মাংসের দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি গরুর মাংসে ২০ টাকা বেড়ে ৬০০ এবং খাশির মাংসে ৫০ টাকা বেড়ে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইসাথে বেড়েছে শাক-সবজি, মাছ, তেল, চিনিসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া, উপশহর নিউমার্কেট, লক্ষীপুর নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, পাতিহাঁসের কেজিতে প্রায় ১৫ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে হাঁসের কেজি ছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩১৫ থেকে ৩২০ টাকা।

পড়তে পারেন: ৪টি মাছের দাম ১৮ লাখ টাকা!

মাংসের দাম বাড়ার বিষয়ে রাজশাহীর সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মিঠু বলেন, কিছুদিন আগে রাজশাহীতে দোকানপাট বন্ধের ঘোষণায় বেচাবিক্রি কমে গিয়েছিল। বর্তমানে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার কারণে বিয়ে-শাদীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে। গরুর দাম বেড়েছে ৬-৭ হাজার। ফলে সব ধরনের মাংসের দাম বাড়া স্বাভাবিক। হোটেলে আগে রাত ৮টার পর সববিক্রি বন্ধ হয়ে যেতো। কিন্তু এখন সেই সমস্যা নেই। বাজারে চাহিদা ও আমদানি দুটোই আছে তাই কিছুটা দাম বেড়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ব্রয়লার মুরগি নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি খায়। এখন বাজারে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। চাল, ডাল, তেল কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের ধারণা এ কারণেই বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কিছুটা কমেছে। কিন্তু গরুর মাংসের দাম ৬ মাস আগে সাড়ে ৫’শ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৬০০ টাকা। আর খাশির মাংস ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: দুই মাছের দাম ১৮ হাজার ৯০০ টাকা!

রাজশাহী নিউমার্কেটের মুরগি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, সোনালি মুরগি বাসাবাড়ির পাশাপাশি হোটেলের জন্যও বিক্রি হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও সোনালি মুরগি ব্যবহার করা হয়। আর ব্রয়লার মুরগি সাধারণত বাসাবাড়িতে খাওয়ার জন্য কিনেন ক্রেতারা। এ কারণে অনুষ্ঠান বেশি হলে ব্রয়লার মুরগির তুলনায় সোনালি মুরগি বেশি বিক্রি হয়। এই কারণেই সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ , লাউ ৫ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা পিস, বেগুন ৩০ টাকা কিজিতে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, করলা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা ও শসা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: ভারতে সয়াবিন রপ্তানিতে দেশে বাড়ছে ডিম-মাংসের দাম

মাছের বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বড় ইলিশ কেজিতে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, ছোট ইলিশ গত সপ্তাহের মতই ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজি যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১শত টাকা বেশী, রুই মাছ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি, মিড়কা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, টেংরা মাছ কেজিতে ১শত টাকা বেড়ে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও খোলা সোয়াবিন তেল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১৭৫ টাকা এবং লিটারে ৭ টাকা বেড়ে ১৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিনি কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম হালিতে এক টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা হালি, সাদা ডিম ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা হালি।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ