ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আজ ভারতের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস উপলেক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক বক্তব্যে বলেন, ‘দেশে একটি নয়, তিন তিনটি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে! টিকা দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে পস্তুত ভার সরকার। কেবল বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে ‘সবুজ সংকেত’ পেলে বিপুল পরিমাণে কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে যাবে ভারত।’

‘‘শুধু টিকা উৎপাদনই নয়, বরং কীভাবে দ্রুততার সঙ্গে তা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তার পরিকল্পনাও করা হয়ে গেছে।”

তিনি আরোও জানান, কোভিড-১৯ টিকা তিনটি এখন গবেষণার বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। তবে সেগুলির উৎপাদন এবং বণ্টন সংক্রান্ত রোডম্যাপ তৈরির কাজ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। রাশিয়া ইতিমধ্যেই করোনা টিকা আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেও ভারতে তৈরি প্রথম টিকা কোভ্যাক্সিনের এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।’

এদিন মোদী কমলা ও সাদা রঙের পাগড়ি পরে অনুষ্ঠানে আসেন। একই রঙের স্কার্ফ গলায় পেঁচানো ছিল। অনুষ্ঠানের সময় কেউ কাছে এসে গেলে ওই স্কার্ফ দিয়ে তিনি নাক-মুখ ঢাকেন।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন তেমন ঝাঁকজমক পূর্ণ ছিল না। কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া সেনাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে। অনুষ্ঠানে মাত্র চার হাজার ‍অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন। প্রতিটি চেয়ার ছয় ফুট দূরে দূরে ছিল।

আরোও পড়ুন: দোটানায় ভারত কিনবে না রাশিয়ার টিকা

এদিকে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গত সপ্তাহে রাশিয়া কোভিড-১৯ এর একটি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। মস্কোর ‘গামালিয়া ইনস্টিটিউট’র বানানো ওই টিকা মানব দেহে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পর দুই মাসও পেরোয়নি। তৃতীয় বা চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষাও হয়নি। তার আগেই সেটিকে গণহারে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তবে রাশিয়ার দাবি তাদের টিকা ‘অত্যন্ত কার্যকর এবং নিরাপদ’। ২০টির মতো দেশ এরইমধ্যে রাশিয়ার টিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানিয়েছে মস্কো। সেই দেশগুলোর একটি ভিয়েতনাম। প্রাদুর্ভাবের শুরুতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারীর সংক্রমণ আটকে দেওয়া ভিয়েতনামে নতুন করে ভাইরাসের বিস্তার দেখা দিয়েছে। যে কারণে দেশটির কমিউনিস্ট সরকার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রাশিয়ার টিকা কিনতে নাম নিবন্ধনের কথা জানিয়েছে।

একটি নয়, তিন তিনটি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে: মোদী শিরোনামে সংবাদের তথ্য আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে।