চিনি

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: একলাফে চিনির কেজিতে ১৪ টাকা বাড়িয়েছে সরকার মালিকানাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।

বিএসএফআইসির প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা মাযহার উল হক খানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসএফআইসি কারখানায় উৎপাদিত চিনির দাম কেজিতে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ টাকা করা হয়েছে। এর আগে আমদানীকৃত প্যাকেটজাত চিনির দাম সরকার ৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ টাকা করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি কেজি দেশী চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯ টাকা করা হয়েছে।

দেশী চিনির দাম মিল পর্যায়ে ছিল প্রতি কেজি ৭৪ টাকা। দাম বাড়ার ফলে মিল পর্যায়ে এখন পড়বে ৮৫ টাকা এবং ডিলার পর্যায়ে দাম পড়বে ৮৭ টাকা। এছাড়া মিলগেটে প্যাকেটজাত এক কেজি চিনির দাম ৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯০ টাকা। আর ওই প্যাকেট করপোরেট সুপারশপ বা চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্ট থেকে কিনতে লাগবে ৯২ টাকা।

বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৮ থেকে ২০ লাখ টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন মিলগুলোয় ৩০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়। চাহিদার বাকি বিশাল অংশ চিনিই আমদানি করতে হয়। রাষ্ট্রীয় চিনিকলগুলো থেকে আসে সর্বোচ্চ এক লাখ টনের মতো লাল চিনি। অপরিশোধিত চিনি আমদানির পর তা পরিশোধন করে দেশীয় মিলগুলো বাজারে সরবরাহ করে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন

দাম কমেছে তেলের, বেড়েছে চাল ডাল চিনির

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি

বাজারে চিনি সরবরাহ ও আমদানি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন তথ্য

বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদক দেশ হিসেবে পরিণত হচ্ছে ভারত

ডলারের দরের ঊর্ধ্বগতিতে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত ৬ অক্টোবর চিনির দাম বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার। তাতে খোলা চিনির দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৯০ টাকা কেজি, আর প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি হয় ৯৫ টাকা। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ফের বাড়ল চিনির দাম।

এদিকে বাজারে চিনি সরবরাহ ও আমদানি নিয়ে নতুন তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশে চিনির কোনো ঘাটতি নেই। এছাড়া খুব শিগগিরই আরও ১ লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে।

গত মাসের রোববার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রিয় ব্যাংক আশা করছে যে, একটু তদারকি করলে চিনির বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বাসস সংবাদ মাধ্যম জানায়, ২০২১ সালে দেশে মোট ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছিল। চলতি ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে ইতোমধ্যে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি সম্পূর্ণ হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ টন। যার সিংহভাগ আমদানি করতে হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ বাসস কে জানিয়েছেন, সম্প্রতি দেশের বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। সংকটের কারণে এ দাম বেড়েছে এমন কথা বলা হচ্ছে। এ তথ্য সঠিক নয়। ২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছিল।

তিনি জানান, চলতি ২০২২ সালে নয় মাসে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছে। অচিরেই আরও এক লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হবে। তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত চিনি আমদানি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিশেষ তদারকি করতে পারলে, চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ