এক বিঘা জমিতে আখ

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এক বিঘা জমিতে আখ চাষে দুই লাখ টাকা আয় এর পথে আগাচ্ছেন নাটোরের আখ চাষি মো. সিদ্দিকুর রহমান। বাংলাদেশ সুগারকেন রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) এর নতুন জাত রংবিলাশ চাষ করে তিনি এ সফলতা পেয়েছেন।

গেলো সপ্তাহে সরেজমিনে বিএসআরআই’র ঊর্ধতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন করে এসব তথ্য পেয়েছেন। বিএসআরআই’র পরিচালক (গবেষণা) ও বিএসআরআই সায়েন্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ড. সমজিৎ কুমার পাল এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এক বিঘার কিছুটা কম জমিতে করেছেন রংবিলাশের চাষ। তাতে আখ হয়েছে ৬৫০০টি। প্রতিটি আখ খুচরা বিক্রি করছেন ৩০-৪০ টাকা দরে।

গড়ে ৩৫ টাকা দরে তার আয় হয় ৬৫০০×৩৫ = ২,২৭,৫০০ টাকা। ঐ জমিতে তিনি খরচ করেছেন প্রায় ৩০,০০০ টাকা। এর মধ্যে সাথীফসল ছিল পেঁয়াজ। পেঁয়াজের দাম ভাল পাওয়ায় সেখান থেকেই তার প্রায় সব খরচ উঠে এসেছে। সাদাসিধে মানুষ সিদ্দিকুর রহমান মোঃ বাহার উদ্দীন প্রাং এর ছেলে।

একই গ্রামের আরেকজন যুবক মোঃ হাসেন আলীর পুত্র মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি রংবিলাশ চাষ করেছিলেন আড়াই বিঘা জমিতে। তার জমিতে আখ ছিল ১৫ হাজার টির উপরে। তিনি পাইকারি বিক্রি করছেন ২০ থেকে ২২ টাকা দরে। নিম্ন দর ২০ টাকা হলেও তার আয় ১৫,০০০×২০= ৩,০০,০০০ টাকা।

তার খরচ হয় প্রায় ৭০,০০০ টাকা। তার ঐ জমিতে সাথীফসল ছিল রসুন এবং গুটি পেঁয়াজ। তিনিও তার প্রায় সব খরচই তুলে এনেছেন সাথীফসল থেকে।

ড. সমজিৎ কুমার পাল এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে আরও বলেন, ওই এলাকায় অনেকেই এই জাতের আখ চাষে ঝুঁকছেন। একজনের লাভবান হওয়ার কথা শুনে আরেকজন উৎসাহ পাচ্ছেন।

সরেজমিনে আমরা গিয়ে দেখি, শুধু এই দুজন কৃষক নন, এলাকার আরো অনেক মানুষ মেতে উঠেছেন রংবিলাশের রঙে। রংবিলাশ হচ্ছে বিএসআরআই আখ ৪২। চিবিয়ে খাওয়ার উপযোগী নরম এবং পুষ্টিকর একটি আখজাত। তাই যাদের সুযোগ আছে আসুন, রংবিলাশের রঙে রাঙিয়ে তুলুন নিজেকে।

এক বিঘা জমিতে আখ চাষে দুই লাখ টাকা আয় এমন কৃষির জন্যে খুবই ভালো সংবাদ। এমন ভালোমানের ফসল চাষে কৃষকেরা আরও বেশি ‍উদ্বুদ্ধ হোক এই প্রত্যাশা এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জার্নাল অব সুগারকেন’এ প্রবন্ধ লেখার উপর সেমিনার