নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কাঁচা ও রান্নাকৃত মাছের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে পারলে যেমন ব্যস্ত ভোক্তাদের লাভ হবে তেমনই উৎপাদনকারীরাও ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা মত প্রকাশ করেছেন।

আজ শনিবার (২১ এপ্রিল) ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন এর অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় মৎস্যখাত: টেকসই, স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও এসডিজি প্রেক্ষিত’ শীর্ষক কর্মশালায় তারা এ মত প্রকাশ করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।

সারা দেশের পরিবেশ দূষণ ও পানি দূষণ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করা, ভরাট নদী ও হাওড়-বাওড়ের খননকার্য এবং মৎস্যখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

তারা বলেন, ২০২১ সালে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে মৎস্য খাতের স্বয়ম্ভরতার্জনকে অবশ্যই টেকসই করতে হবে। মাছের স্বয়ম্ভরতাকে ধরে রেখে ভ্যালু এডেড মৎস্যপণ্য উৎপাদনের দিকে আমাদের লক্ষ্য দিতে হবে। কাঁচা ও রান্নাকৃত মাছের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে পারলে যেমন ব্যস্ত ভোক্তাদের লাভ হবে তেমনই উৎপাদনকারীরাও ন্যায্যমূল্য পাবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. গোলজার হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ এর প্রফেসর ড. নির্মল চন্দ্র রায়, মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।

এছাড়াও মৎস্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন এবং মৎস্য অধিদপ্তর এর বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার ওপর মূল প্রবন্ধ-উপস্থাপনা করেন মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দফতরের উপপরিচালক ছালেহ আহমদ।

কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় সারাদেশ থেকে সকল প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সারাদেশের করমকর্তাদের অংশগ্রহণে মৎস্যখাতের চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা-সম্ভাবনা চিহ্নিত করা।

দু’ভাগে বিভক্ত কর্মশালার ১ম পর্বে আগত অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উন্মুক্ত আলোচনা এবং সমস্যাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর এবং ২য় পর্বে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রকল্পের উপস্থাপনা, ইউনিয়নপর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তিসেবা, বিভাগওয়ারী আলোচনাসহ মুক্ত-আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অংশগ্রহণকারী মৎস্য অফিসারগণ মৎস্যখাতের বিভিন্ন অভিজ্ঞতাবিনিময় করেন এবং মৎস্যউৎপাদনে স্বুয়ংসম্পূর্ণতার্জনের ধারা টিকিয়ে রাখতে পরামর্শ দেন।

মৎস্যমন্ত্রী মৎস্যচাষের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিবরণ দিয়ে কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিকদের এলাকা ও পরিবেশভিত্তিক মাছচাষের প্রযুক্তির আবিস্কারসহ মাছের রোগপ্রতিরোধের ব্যাপারেও অবদান রাখার আহবান জানান।

তিনি পানিদুষণ এবং নদীখননের প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ভিত্তিক সভার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, নিরাপদ খাদ্য এবং মাছের অভয়াশ্রয় নিশ্চিত করতে আমরা উদ্যোগ নেবো।