নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষক বন্ধু ফোন সেবার মান যাচাইয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক নিজেই ফোন করলেন দুই জেলার কৃষি কর্মকর্তার নিকট। ৩৩৩১ নম্বরে ফোন করে কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন তিনি।

আজ (মঙ্গলবার) কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম (এটুআই) এর সাথে কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ক আলোচনা সভায় আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি দুই কৃষিকর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, ই-কৃষি সেবার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘কৃষি বাতায়ন’ এবং ‘কৃষক বন্ধু’ ফোনসেবা। কৃষি বাতায়ন সেবা এমন একটি সেবা যার দ্বারা রেজিষ্ট্রেশনকৃত যে কোন ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে কৃষি সর্ম্পকিত প্রশ্ন করা যাবে এবং এর উত্তরও পাওয়া যাবে।

ই-কৃষির প্রচলন টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গী পরিহার করে সবাইকে সৃষ্টিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, কী করে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা যায় এবং খাদ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের উপায় বের করতে হবে।

তিনি জানান, কৃষি গবেষণায় উদ্ভাবিত নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তি যথাযথভাবে প্রান্তিক চাষিদের কাছে পৌঁছানোর ওপর কৃষি উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভরশীল।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তিকে প্রকৃত ব্যবহার করতে হবে, কৃষকের খামারে। মোবাইল ফোন সংযোজনের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স এগ্রিকালচার তথা ই-কৃষির প্রচলন টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।

তিনি বলেন, কৃষি বাতায়ন ব্যবহারের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মীর সঙ্গে কৃষকের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, কৃষি গবেষণার সঙ্গে মাঠপর্যায়ের সংযোগ সাধন, কৃষি তথ্যভিত্তিক জ্ঞানভান্ডার গড়ে তোলা এবং মাঠপর্যায় হতে কেন্দ্র পর্যন্ত বিবিধ রিপোর্ট আদান-প্রদানে সহায়ক হবে।

এ পর্যন্ত ৭৯ লাখ কৃষকের ডাটাবেজ তৈরী করা হয়েছে। কৃষকের ডাটাবেজ দ্বারা তার শিক্ষা, জীবনাচার, পরিবার ও অন্যান্য পেশা সম্পর্কে জানা যাবে যা ভবিষৎ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। পর্যায়ক্রমে ৩ কোটি কৃষকের ডাটাবেজ তৈরী করা হবে।

সভায় জানানো হয়, মোবাইল ফোন শুধু কথা বলার জন্যই নয়। অনলাইন, ডিজিটাল সেন্টার এবং কৃষকদের জন্য চালু করা অ্যাপ থেকে সব রকম তথ্য তাঁরা পেতে পারেন।

এর ফলে কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্যের বাজারদর জানতে পারবেন। কোন জেলায় কিকি ফসল উৎপন্ন হচ্ছে মোট ফসলের উৎপাদন  ঐ এলাকার ফসলের মূল্য জানা যাবে। ফলে সহজে কেউ আর কৃষকদের ঠকাতে পারবে না।

বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এটি তারই অংশ। প্রতিটি কৃষককে ডিজিটাল সেবার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের ফসলের যে সকল সমস্যা হয় তার সমাধান করতে পারেন। এটি কৃষকদের জন্য খুবই উপকার হবে। কৃষক সমাজকে সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব জনাব মো: নাসিরুজ্জামনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও এটুআই এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।