আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে। কৃষ্ণ সাগরীয় চুক্তি সম্প্রসারণের পরও উল্লেখযোগ্য গতি ফেরেনি ইউক্রেনের শস্য রফতানিতে। তবে বিদ্যমান সংকট কাটলে শস্যটির দাম আরো কমতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

বিজনেস রেকর্ডারের তথ্য মতে, স্থিতিশীল সরবরাহ, দুর্বল চাহিদা, রফতানি বাজারে প্রতিযোগিতাসহ নানা কারণে শস্যটির বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি সম্প্রসারণ হওয়ায় বাজারে গমের সরবরাহ সংকটের উদ্বেগ কমেছে। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শস্যটির রফতানি বাজারে অঞ্চলটির প্রতিযোগিতাও তুঙ্গে। এ কারণেই মূলত গমের দর কমতির দিকে।

অন্যদিকে কভিড-১৯ প্রতিরোধে আরোপিত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে চীনে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ কারণে দেশটিতে ভাটা পড়েছে গমের চাহিদায়, যা দাম কমাতে সহায়তা করছে।

গতকাল শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) গমের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে, যা তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এদিন প্রতি বুশেল গম বিক্রি হয়েছে ৭ ডলার ৮৫ সেন্টে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

এবার আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ

১৫ লাখ টন ছাড়াতে পারে ভারতের গম রফতানি

জানুন উচ্চ ফলনশীল গমের নতুন জাত সম্পর্কে, শীষে ৪০ দানা

অবশেষে গম, সয়াবিন, ভুট্টার দাম কমলো

এদিকে সয়াবিন ও ভুট্টার দামও কমতির দিকে। সয়াবিনের দাম দশমিক ৭ শতাংশ কমে বুশেলপ্রতি ১৪ ডলার ২৬ সেন্ট ও ভুট্টার দাম ১ শতাংশ কমে ৬ ডলার ৬৪ সেন্টে নেমেছে।

শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) কমেছে গমের দাম। শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে গমের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।

কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দামের ওপর নিম্নমুখী চাপ তৈরি হয়েছে। যদিও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে শীতকালীন গম উৎপাদন নিয়ে উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

এদিকে সয়াবিনের দামও কমেছে। কারণ বিশ্বের শীর্ষ আমদানিকারক দেশ চীনে তেলবীজটির চাহিদা কম। করোনা সংক্রমণ আবারো ব্যাপক হারে বাড়ায় মাড়াই প্রতিষ্ঠানগুলো আমদানি কমিয়ে দিয়েছে।

ফিউচারস ইন্টারন্যাশনালের বিশ্লেষক টেরি র্যালি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শীতকালীন গম আবাদি অঞ্চলগুলোয় শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব তীব্র হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। নতুন করে আবাদ করা গমের ৭৫ শতাংশ অঞ্চলই খরার কবলে পড়েছে।

শিকাগো অব বোর্ডে, প্রতি বুশেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮ ডলার ১৬ সেন্টে। অন্যদিকে সয়াবিনের দাম দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। প্রতি বুশেল ১৪ ডলার ৩৬ সেন্টে চুক্তি হয়েছে। তবে ভুট্টার দাম দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে বুশেলপ্রতি ৬ ডলার ৬৪ সেন্টে উন্নীত হয়েছে।

সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার খাদ্যশস্য রফতানিসংক্রান্ত চুক্তি সম্প্রসারণের কারণে বাজারে সরবরাহ সংকটের উদ্বেগ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চল থেকে সরবরাহ আবারো স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। এতে রাশিয়ান গমের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ