নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। ক্রেতা সংকটে পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পারায় গুদামে মজুদ করা পেঁয়াজে পচন ধরছে। কোন কোন গুদামে গাছ গজিয়েছে।

বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। কারণ, নতুন করে আমদানির হুকুম পাননি তারা। বাধ্য হয়ে এসব পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

গুদামে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল মান্নান বলেন, বাজারে ভালো পেঁয়াজের দাম বেশি, এ কারণে গুদামে কিনতে এসেছি। গুদামের অনেক পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্য থেকে কিছু কিছু বাছাই করে কিনছি। এগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবো।

পড়তে পারেন: আমদানি বন্ধের খবরে পেঁয়াজের কেজিতে বাড়লো ৬ টাকা

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মনিরুল আলম বলেন, আমদানি বন্ধের কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর কিছুটা চাপ পড়েছে। ফলে বর্তমানে ছোট আকারের পেঁয়াজ ২৪ থেকে ২৬ টাকা এবং বড় আকারেরটা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ ভারতীয় পেঁয়াজের তেমন বিক্রি নেই বললেই চলে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকারি অনুমতি না থাকায় ৫ মে থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। তবে মে দিবস, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ১ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল।

পড়তে পারেন: গোপনে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি

৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আগের অনুমতি পাওয়া এলসির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করেন আমদানিকারকরা। কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা না থাকায় মোকামগুলোতে তেমন চাহিদা নেই। বিক্রি না হওয়ায় গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজের মজুত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গরম আবার কখনও বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজে পচন ধরেছে, গজিয়েছে গাছ। বাছাই করে ভালো মানের পেঁয়াজ পাইকারিতে ২৫-২৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অল্প খারাপগুলো ১০-১২ টাকা আর বেশি খারাপগুলো ৪-৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বাড়তি দামে আমদানি করে কম দামে বিক্রি করায় লোকসান গুণতে হচ্ছে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ৬৮টি ট্রাকে এক হাজার ৯০২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এরপর থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। আইপি না থাকায় আমদানি করছেন না ব্যবসায়ীরা। আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব যেমন কমেছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকের যে দৈনন্দিন আয় সেটিও কমেছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ