কৃষিবিদ মো: আইনূল হোসেন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ছোট মাছ গুলোর মধ্যে গুলশা মাছ আমাদের অনেক প্রিয়। মাছটির বাণিজ্যিক মুল্যও অনেক ভাল। আগে এ মাছ নদী-নালা, খাল বিল, হাওর বাওরে পাওয়া যেত।

কিন্তু কীট নাশকের ব্যবহার বৃদ্ধিতে এর প্রজনন ক্ষেত্র ধংস হওয়ায় এর প্রাপ্যতা অনেক কমে গেছে।

কিছু কৌশল অবলম্বন করলে মাছটি চাষ করে লাভবান হওয়া যাবে। অন্য মাছের সাথে চাষ করা যায় বিধায় আলাদা খরচ বহন করতে হয় না। যার কারনে উৎপাদন খরচ কম, অন্যদিকে বাজার মুল্য বেশি হওয়ায় চাষিরা আর্থিক ভাবে বেশি লাভবান হতে পারবেন।

গুলশা মাছের নার্সারি ব্যাবস্থাপনা: *নার্সারি পুকুরের আয়তন১০-২০ শতাংশ এবং গভিরতা ০.৮০-১.০ মিটার এর জন্য উপযুক্ত।

*পুকুর প্রস্ততির সময় মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য জন্মানোর জন্য শতাংশে২০ কেজি হারে গোবর সার দিতে হবে।

*নার্সারি পুকুরে ৪-৫ দিন বয়সের রেনু পোনা শতাংশে ৮,০০০-১০,০০০ টি মজুদ করা যায়।

*প্রতি শতাংশে ৩ দিন ২টি করে ডিমের কুসুম পানিতে মিশিয়ে সকাল, দুপুর ও বিকালে ছিটিয়ে দিতে হবে।

*এই সময় নার্সারি পুকুরকে ১.০মিটার উচু জাল দিয়ে ঘিরে দিতে হবে। ফলে ক্ষতিকর রাক্ষুসি সাপ ব্যাঙ বা সাপ পুকুরে পোনার ক্ষতি সাধন করতে পারে না।

*৪-৭দিন সকালে, দুপুরে,ও বিকেলে ১০০গ্রাম হারে আটার দ্রবণ প্রতি শতাংশে সরবরাহ করতে হবে।

*৮-১৫ দিন সকাল দুপুর ও বিকেলে ১০০গ্রাম হারে প্রতি শতাংশে ৪০% প্রোটিন সমৃদ্ধ নার্সারি খাদ্য দিতে হবে।

*১৬-৩০ দিন সকাল দুপুর ও বিকেলে ১২৫ গ্রাম হারে প্রতি শতাংশে ৪০%প্রোটিন সমৃদ্ধ নার্সারি খাদ্য দিতে হবে।

*রেনু পোনা ছাড়ার ৩০ দিন পর পোনায় পরিনত হয়,যা চাষ এর পুকুরে মজুদের জন্য উপযোগী।