আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের মধ্যেও তুরস্কে চায়ের রফতানি বেড়েছে।চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) দেশটি থেকে পানীয় পণ্যটির রফতানি ১৭ শতাংশ বেড়ে চার হাজার টন ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইস্টার্ন ব্ল্যাক সি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। খবর আনাদোলু নিউজ ও সিনহুয়া।

আরও পড়ুন: করোনায় ধস নেমেছে ভিয়েতনামের চাল রফতানি

এর আগে চা রফতানি বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। আর উদ্যোগের এর সুফলও মিলছে। করোনা মহামারীর মধ্যে তুরস্কের চা রফতানি প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর সময়ে তুরস্ক থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৪ হাজার ১৩৫ টন চা রফতানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটি থেকে পানীয় পণ্যটির রফতানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ।

চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে চা রফতানি করে তুরস্কের রফতানিকারকরা সব মিলিয়ে ১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার আয় করেছে। এক বছরের ব্যবধানে পানীয় পণ্যটির রফতানি বাবদ আয়ও ১৭ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারি-নভেম্বর সময়ে তুরস্ক থেকে ১০০টির বেশি দেশে চা রফতানি হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চা রফতানি হয়েছে ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামে। চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে বেলজিয়ামের বাজারে চা রফতানি করে সব মিলিয়ে ৪৮ লাখ ডলার আয় করেছে তুরস্ক। বেলজিয়ামের পরে গত ১১ মাসে তুরস্ক থেকে সবচেয়ে বেশি চা রফতানি হয়েছে যথাক্রমে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসে।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে গমের রফতানি মূল্য বৃদ্ধি

ইস্টার্ন ব্ল্যাক সি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ হামদি গুরদোয়ান বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে চা রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। এটা তুরস্কের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মহামামীর মধ্যেও চলতি বছর শেষে তুরস্কের চা রফতানিতে চাঙ্গা ভাব বজায় থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, যা বিশ্ববাজারে বিদ্যমান প্রতিযোগিতায় তুরস্কের এ রফতানিমুখী শিল্পটিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে দেবে বলে জানান সংস্থাটির এই কর্মকর্তা।

তুরস্কে বাড়ছে চা রফতানি শিরোনামে সংবাদের তথ্য বণিক বার্তা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি