নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গত পনের দিনের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের কেজিতে কমেছে প্রায় ১৫ টাকা। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। সম্প্রতি বাড়তি চাহিদা ও দাম বেশি পাওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।

ফলে গত একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি বাড়ায় একদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৬ টাকা। গত বৃহস্পতিবার একদিনেই হিলি বন্দরে ৪০টি ট্রাকে ১ হাজার ২২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। আমদানি বাড়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ মসলা পণ্যের দাম কমতে থাকে।

পড়তে পারেন: ভারতীয় পেঁয়াজ আসায় কমছে দেশীর দাম

আমদানি কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। পাবনা, মেহেরপুরসহ দেশীয় পেঁয়াজের মোকামগুলোয় সরবরাহ কমে দাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ পর্যন্ত উঠেছিল, বর্তমানে সরবরাহ বাড়ায় তা কমে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় নেমেছে। এতে আমদানীকৃত পেঁয়াজের চাহিদাও কমছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি করেন হাসান মোল্লা। জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দেশীয় পেঁয়াজের চাহিদা ছিল বেশি। চাহিদা বাড়ার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছিল। আর আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে। কিছুদিন আগে খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এখন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: ভারতীয় পচা পেঁয়াজ বাধ্যতামূলক করেছে টিসিবি, চটেছে ক্রেতা

একদিন আগেও প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২৮-২৯ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২২-২৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে একই জাতের মোটা আকারের পেঁয়াজ ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। আগে ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৫-৩০ ট্রাক হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার একদিনেই ৪০ ট্রাকে ১ হাজার ২২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পেঁয়াজ কাঁচামাল হওয়ায় কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন খালাস করতে পারে সে লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পড়তে পারেন: ডলারের সংকটে বাড়লো ভারতীয় পেঁয়াজের দাম

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমদানি বন্ধের পাশাপাশি হঠাৎ দেশীয় পেঁয়াজ সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। দুই মাস বন্ধের পর ৫ জুলাই থেকে হিলিসহ সব স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ