ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নলকুড়া পাহাড়ি এলাকায় পানির অভাবে চাষিরা ধান চাষ করছেন না। কৃষি বিভাগের পরামর্শে চাষ করছেন আখ। সেই ধানের জমিতে আখ চাষে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে।

জানা যায়, পাহাড়ি অঞ্চলে অধিকাংশ কৃষকের জমি উঁচু পাহাড়ি ভূমি। পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এবং অন্যান্য ফসলের থেকে আখ লাভজনক হওয়ায় চাষিরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তাই কৃষকেরা অল্প জমিতেই আখ চাষ করে অধিক টাকা উপার্জন করে খুশি কৃষকরা।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখ চাষ অনেক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন আখ চাষির সংখ্যা ও আখ চাষের আবাদ দিন দিন বাড়ছে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

আখ চাষে কৃষকের মুখে হাসি

আখের মারাত্মক লাল পঁচা রোগ দেখা দিলে যা করবেন

আখের জমিতে সমন্বিত ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনা

ডোমারে বেড়েছে আখের চাষ, দামে খুশি চাষিরা

চাষি আবুল হোসেন বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে আখ চাষ করি। পানির ব্যবস্থা না থাকায় এখানে অন্য কোনো ফসল ফলানো সম্ভব হয় না। তাই আখ চাষ করছি। আখ চাষে আমার প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি প্রায় ২ লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারবো।

ঝিনাইগাতি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, পাহাড়ি এলাকায় সেচ দিতে অসুবিধা হয়। আখ চাষে বেশি সেচ দিতে হয় না। আখ উৎপাদনে খরচ কম। তাই আখ চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের আখ চাষে বিঘাপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর কৃষকরা ৯০ হাজার থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারেন। এ বছর জেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। ধানের জমিতে আখ চাষে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে সংবাদের তথ্য সংবাদ প্রকাশ থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ