নতুন অর্থবছরে যেসব পণ্যের

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হলে একাধিক পণ্যের দাম উঠানামা করবে। ২০১৯-২০ অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে যেসব পণ্যের দাম বাড়বে ও কমবে তার একটি খসড়া নিচে তুলে ধরা হলো।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ‘সমৃদ্ধ আগামীর’ প্রত্যাশা সামনে রেখে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।



যেসবের দাম বাড়ছে: আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবিত পণ্যেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্যাকেটজাত তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, আমদানি করা কাঁচা চিনি ও প্রক্রিয়াজাত চিনি, গ্লুকোজ, প্রাকৃতিক মধু, বডি স্প্রে, সব ধরনের অলিভ অয়েল, এসি মটর, প্রক্রিয়াজাত মিক্সড খাদ্য, এসি/ডিসি দুই ধরনের বিভিন্ন প্রকার বৈদ্যুতিক মটর, অপটিক্যাল ফাইবার কেবলস, ফ্লাস্ক, বোতল, জার, পট, গ্লাস, রান্নার ওভেন, প্লেট ও চুলা।

এর ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে আগামী জুলাই হতে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে। আইসক্রিমের উপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।  এতে আইসক্রিমেরও দাম বাড়তে পারে।

আমদানিকরা ভোজ্য তেল এবং প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য এতদিন মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি পেয়ে আসছিল। কিন্তু আগামী অর্থবছর থেকে তাতে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

ফলে আমদানি করা প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি তৈজসপত্র, সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, সানফ্লাওয়ার তেল, সরিষার তেলের দাম বাড়তে পারে।

সিগারেট-বিড়ির উপর সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রেখে শলাকার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিড়ি সিগারেটের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।

স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করায় এর দাম বাড়তে পারে। এছাড়া সিম ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়া সেবার উপর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করায় মোবাইল ফোন ব্যবহারে খরচ বাড়তে পারে।

গণপরিবহন ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের নিবন্ধন, রুট পারমট, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদ ইত্যাদি গ্রহণ ও নবায়নের পরশোধিত চার্জ বা ফি এর উপরে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব ফি বাড়তে পারে।

রেডিও, মোটর সাইকেলের টায়ার ও গাড়ির ১৬ ইঞ্চি সাইজের টায়ারসহ সব ধরনের টিউবের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

যেসবের দাম কমছে: ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করায় ১৫০ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের পাউরুটি, বিস্কুট ও কেকের দাম কমতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতিতেও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্বর্ণের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই কারণে তুলা বীজ, পাম নাটস, রেফ্রিজেরেটর শিল্পের স্টিল প্লেটের দামও কমতে পারে।

আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাবে কমতে পারে চার্জার কানেকটর পিন, পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্য শিল্পে ব্যবহৃত তিনটি উপকরণ, ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত ৪৩টি উপকরণের দাম, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, লিফট প্রস্তুতকারী শিল্পে ব্যবহৃত আমদানি করা সকল উপকরণ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপন ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ, কমপ্রেসর প্রস্তুতকারী শিল্পে ব্যবহৃত আমদানি করা সব উপকরণ, জুতা শিল্পের বিভিন্ন উপকরণ।

আরও পড়ুন: কৃষিতে বরাদ্দ ১৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা, পূর্বের প্রণোদনা বহাল

বজ্রপাত থেকে প্রতিরক্ষাকারী পণ্য লাইটিং অ্যারেস্টারের আমদানি শুল্ক অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাবে এ পণ্যের দাম কমতে পারে।

শুল্ক-কর বাড়ানো কমানোর ব্যাখ্যায় বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষায় শুল্কহার যৌক্তিকিকরণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব তথা মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর আহরণ বৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়।

নতুন অর্থবছরে যেসব পণ্যের দাম বাড়বে ও কমবে এ সংবাদটি প্রকাশে বিডিনিউজ২৪.কম এর সহযোগিতা নেয়া হয়েছে।