নিরাপদ মাছ উৎপাদন কৌশলের

মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নিরাপদ মাছ উৎপাদন কৌশলের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.এইচ.এম মোস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০১৮-১৯) পর্যলোচনা ও গবেষণা প্রস্তাবনা (২০১৯-২০) প্রণয়ন’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

দুই দিন ব্যাপী এ কর্মশালা শনিবার (২২ জুন ২০১৯) ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।



কর্মশালায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিএফআরআই পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমের মূল্যায়ন এবং আগামী অর্থ বছরের জন্য (২০১৯-২০) জাতীয় চাহিদার আলোকে গবেষণা পরিকল্পনার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.এইচ.এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট জাতীয় চাহিদার নিরীখে গবেষণার মাধ্যমে ইতোমধ্যে মৎস্য চাষ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ৬১ টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।

তিনি বলেন, এসব প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের ফলে দেশ আজ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসর্ম্পূণ। এখন প্রয়োজন জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ মাছ উৎপাদন। এ সময়ে নিরাপদ মাছ উৎপাদন কৌশলের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের সম্মানীয় ডীন প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ অনুষ্ঠিত এ কর্মশলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন।

আরও পড়ুন: গবেষণায় অবদানে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা

কর্মশালায় সম্মানীয়  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রউফ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাদুপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. খলিলুর রহমান।

কর্মশালায় বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মী, সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও মৎস্য চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।