এগ্রিকেয়ার২৪.কম ডেস্ক: দেশব্যাপী শুরু হয়েছে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ। এ উপলক্ষে রাজধানীর উপকণ্ঠে নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রজেনী শো। আগামী ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ প্রজেনী শোতে কী থাকছে, কী আয়োজনে ভরপুর থাকবে প্রদর্শনীটি, বা প্রয়োজন কী এসবের?

এসব বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা আকারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন উদ্যোক্তা ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন (BDFA) এর জেনারেল সেক্রেটারি শাহ ইমরান। প্রানীসম্পদ অধিদপ্তর (DLS) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন (BDFA) এর উদ্যোগে নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাও এলাকার পানাম নগর আমিনপুর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রদর্শনী।

স্ট্যাটাসটি এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো। এতে প্রজেনী শো বিষয়ে স্পষ্ট একটা ধারণাও পেয়ে যাবেন পাঠকেরা। এছাড়া খামারিদের জন্য এই প্রদর্শনীটি কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তারও একটা ধারণা মিলবে।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, আমরা যারা নতুন খামারী ভাইরা আছি খুব স্বাভাবিক প্রজেনী শো কি এবং এটা করে কি লাভ এই তথ্যগুলো অনেকেই জানি না। অনেকেই বলেছে এত বিলাসিতা, কেউ বলেছেন এসব ইভেন্ট না করে ভ্যাকসিন-মেডিসিন দিন ইত্যাদি।

কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার প্রানিসম্পদের জাত উন্নয়নে কতটা উন্নয়ন সাধন করতে পেরেছে তারই একটি চিত্র ফুটে উঠবে এই শো তে। পৃথিবীর দুধ ও মাংস উতপাদনকারী প্রায় প্রতিটা দেশেই এই ধরনের শো হয়।  বিগত ৭ বছরে প্রানিসম্পদে আমাদের দেশে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।

এই কৃতিত্ব একদিকে যেমন সরকারের অন্যদিকে খামারীদেরও অবশ্যই। একদিনে এই কৃতিত্ব অর্জন হয় নি। প্রতি বছর এই ধরনের শো করার মধ্য দিয়ে প্রানিসম্পদের উন্নয়নের ভাল-মন্দ চিত্র সহজেই জনসমুক্ষে তুলে ধরা খুব গুরুত্বপূর্ন।

বিগত ৭ বছরে দুধের উৎপাদন ২২.৮৬ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ৭২.৭৫ লক্ষ মেট্রিক টন। মাংস ১০.৮৪ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১.৫৪ লক্ষ মেট্রিক টন। এই উন্নতি একটা দেশের জন্য, সরকারের জন্য এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় ঈর্ষনীয় এবং প্রশংসার দাবীদার।

সরকার এখন চিন্তা করে কি করে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারি এই সেক্টরে আমদানী কমিয়ে। একটা দেশে যোগান আর চাহিদার মধ্যে বিস্তর তফাত থাকলে আমদানী করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ থাকে না জনগনের কথা চিন্তা করে। আমদানী আস্তে ধীরে তখনই কমানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে যখন নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে। আমরা এখন এই পর্যায়ে চলে আসছি।

আশাকরি প্রজেনী শো এর গুরুত্ব বোঝাতে পেরেছি। আমাদের সব কিছুরই দরকার আছে। ঠিক খাওয়া দাওয়া না করলে যেমন আমরা রোগা হয়ে দূর্বল হয়ে যাবো, কাজ করতে পারবো না, তেমনি পোষাক পরিচ্ছদ ঠিকমত না পড়লে রাস্তায় বের ও হতে পারবো না। সব কিছুরই দরকার আছে।

আর আমরা অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করি। আমরা আশা করি গঠনমূলক আলোচনা। কি কি কাজ করলে ভাল আমাদের এই সেক্টরের জন্য সেদিকে আলোচনা না করে ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে টানাটানি যে নিজেকেই ছোট করছে সেই দিকে হয়তো খেয়াল করছি না। যে যার অবস্থান থেকে চেস্টা করুন শুধু ভাল কিছু কাজ করতে। সবার চেষ্টাই ইনশা-আল্লাহ ভাল কিছু হবে আমাদের দেশে।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮