প্রাণিসম্পদ মাঠ স্কুলে মিলছে পশু লালন পালনের নানা তথ্য

ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার, যশোর, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: যশোরের কেশবপুরসহ সকল উপজেলায় নিয়মিত প্রাণিসম্পদ মাঠ স্কুলে মিলছে প্রাণি লালন পালনে সচেতনতামূলকসহ নানা তথ্য। প্রাণিসম্পদ মাঠ স্কুলে মিলছে তথ্যবহুল সহযোগিতা কার্যক্রম।

এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রাণিসম্পদ প্রযুক্তি হস্তান্তরিত হচ্ছে। বিশেষ করে, নারীরা প্রাণিসম্পদ লালন পালনে আধুনিক জ্ঞান অর্জন করছে। গতানুগতিক পশু পাখি পালন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক ব্যবস্থাপণার সাথে নিজেদের আত্মস্থ করে নিচ্ছে।

তারা এখন জানেন পশু পাখিকে নিয়মিত কৃমিমুক্ত করতে হয়, গর্ভবতী গাভীতে অন্তত দু’বার কৃমির ঔষধ ব্যবহার করা জরুরি। তারা শিখেছে, নবজাতক বাছুরকে স্বতন্ত্র  ঘরে রাখতে হয়। শিখেছে, পশু পাখিকে কি কি প্রতিষেধক টিকা দিতে হয়।

আমাদের নারীসমাজের মাঝে পশুপাখির স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান ও চাহিদানুযায়ী খাদ্য, নিবিড় পরিচর্যা, নিয়মিত গোসল ইত্যাদি বিষয়ে আগের তুলনায় সক্ষমতা গড়ে উঠছে দিনে দিনে।

প্রাণিসম্পদকে জীবন জীবিকার অবলম্বন হিসেবে আঁকড়ে ধরে তারা স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। পরিবার-সমাজে মা বোনেদের অবস্থান, মর্যাদা সমুন্নত হচ্ছে নিঃসন্দেহে।

এদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি’ ২০১৯ যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার দেলুয়াবাটি গ্রামে মোঃ আব্দুল জলিল এর বাড়িতে “প্রাণিসম্পদ মাঠ স্কুল” অনুষ্ঠিত হয়।

নিয়মিত ‘প্রাণিসম্পদ মাঠ স্কুলে হাজির ছিলেন ৩০ জন পুরুষ-মহিলা। প্রায় দু’ঘন্টাব্যাপী এই স্কুলে গবাদিপশু ও হাস মুরগী লালন- পালন, এদের রোগ বালাই প্রতিরোধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর দেয়া হয়।

প্রাণিসম্পদ মাঠ স্কুলে মিলছে

গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকার প্রধানতম অবলম্বন এই প্রাণিসম্পদ। তাদের পরিবারে প্রাণিসম্পদ জীবন্ত ব্যাংকের ভুমিকা পালন করে। তাই অংশগ্রহণকারীদের অত্যন্ত সরব, স্বতঃস্ফূর্ত ও আগ্রহী দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: গবেষণার অভিজ্ঞতায় নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের আহ্বান
এ সময়ে পোল্ট্রি, পশুকে যেসব টিকা ও ভিটামিন খাওয়াতে হবে

প্রাণিসম্পদ মাঠ স্কুলে মিলছে সব ধরণের তথ্য উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন এতে তৃণমূল খামারি, চাষিরাও খুব খুশি। এ থেকে তারা বিভিন্ন বিষয় বিস্তর জানতে পারছেন। তারা এখন বুঝতে পারছেন প্রাণি লালন পালনে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।

আর সচেতনতা সম্পর্কে জানতে হলে অভিজ্ঞদের পরামর্শ খুবই প্রয়োজন যা নিয়মিত ‘প্রাণিসম্পদ মাঠ স্কুলে মিলছে। বিশেষ করে নারীরা এ সুযোগ থেকে বেশি উপকৃত হচ্ছেন।

আয়োজনটি শুধু একটি নির্দিষ্ট স্কুলে নয় বরং সারাদেশের গ্রাম এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার তাগিদও দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, দেশের গ্রাম পর্যায়ের খামারিরা এখনো শতভাগ সচেতন হতে পারেন নি। তারা যদি অভিজ্ঞ প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন তাহলে তা তাদের জন্যে খুবই সহায়ক হবে।