পুকুরে মাছ চাষ খুবই সহজ। আবদ্ধ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে লাভবান হওয়া যায় সহজে। এক্ষেত্রে দেখতে হবে পুকুর কী ধরণের মাছ চাষের উপযোগী এবং কতখানি মাছ ছাড়া যাবে। আসুন জেনে নিই বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে যেসব মাছ চাষ করবেন ও কতটুকু চাষ উপযোগী। লিখেছেন কৃষিবিদ হাসান রিয়াদুল আলম পান্থনীড়, ফেনী।

বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য মাছ:
দেশি কার্প- রুই, কাতলা, মৃগেল, কালি বাউশ; বিদেশি কার্প- গ্রাস কার্প, সিল্ভার কার্প, কার্পিও, মিরর কার্প, বিগহেড কার্প ছাড়াও পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, সরপুঁটি/রাজপুঁটি, কৈ, চিংড়ি এসব।

বিভিন্ন স্তরের মাছ একসাথে চাষের আনুপাতিক হার:
উপরের স্তর ৪০%; মধ্য স্তর ২৫%; নিম্ন স্তর ২৫%; সর্বস্তর ১০% মোট ১০০%। সাধারণত শতাংশ প্রতি ১৫০টি পোনা ছাড়া যায়।

এ হিসাবে ৩০ শতাংশের একটি পুকুরে মোট ৪৫০০টি পোনা ছাড়া যাবে এবং উপরের স্তরের মাছ থাকবে {(৪০টি ৪৫০০)/১০০}=১৮০০টি পোনা।

আরোও পড়ুন: মাছ ছাড়ার আগে পুকুর প্রস্তুতির ৯ ধাপ ও কয়েকটি সতর্কতা

জেনে নিন পুকুরে চুন প্রয়োগের উপকারিতা ও সাবধানতা

কার্প জাতীয় মাছ চাষের আধুনিক কৌশল ও পুকুর ব্যবস্থাপনা

পুকুরে মাছ চাষ:
১. সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ : এ পদ্ধতিতে পুকুরের কোনো ব্যবস্থাপনা ছাড়াই মাটি ও পানির উর্বরতায় পানিতে যে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হয় মাছ তাই খেয়ে জীবন ধারণ করে। এক্ষেত্রে আলাদা কোনো পরিচর্যা নিতে হয় না।

২. আধা-নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ : এ পদ্ধতিতে নিয়মমতো পুকুর প্রস্তুত করে আংশিক সার ও খাদ্য সরবরাহ করে মাছের খাদ্য উৎপন্ন করতে হয়। পুকুরের বিভিন্ন স্তরে উৎপাদিত খাদ্যের সঠিক ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রেখে মাছের পোনা ছাড়তে হয়।

৩. নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ : অল্প জায়গায়, অল্প সময়ে বেশি উৎপাদনের জন্য সার ব্যবহার করে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হয়।

৪. কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ : পুকুরের বিভিন্ন স্তরে উৎপন্ন খাবার সম্পূর্ণ ব্যবহার করার জন্য রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, বিগহেড, সিলভারকার্প, কমনকার্পসহ প্রজাতির মাছ একত্রে চাষ করা যায়।

জেনে নিন বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে যেসব মাছ চাষ করবেন ও কতটুকু শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন কৃষিবিদ হাসান রিয়াদুল আলম পান্থনীড়, ফেনী।