আমরা মাছে ভাতে বাঙালী। দেশে চাষ হয় প্রচুর পরিমানে মাছ। সরকারি হিসাবে দেখা গেছে বাংলাদেশে এখন প্রতি বছর প্রায় ৪৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপন্ন হচ্ছে। আর এ উৎপাদনের জন্য গত এক দশকে প্রায় বাংলাদেশের ‘প্রায় বিলুপ্তি’র হতে থেকে রক্ষা পেয়েছে ৩০ প্রজাতির মাছ। প্রাকৃতিক ও বাণিজ্যিক চাষ উভয়ভাবেই বাড়ছে মাছের উৎপাদন। মাছ চাষের প্রথম ও প্রধান কাজ পুকুরের যত্ন নেওয়া। এই সম্পর্কে  লিখেছেন কৃষিবিদ হাসান রিয়াদুল আলম। আসুন জেনে নিন পুকুরে চুন প্রয়োগের উপকারিতা ও সাবধানতা।

চুন যেসব কাজ করে:

১. পানি পরিষ্কার করা/ঘোলাটে ভাব দূর করা; pH নিয়ন্ত্রণ করে।

২. রোগ জীবাণু ধ্বংস করে।

৩. মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৪. বিষাক্ত গ্যাস দূর করে; শ্যাওলা নিয়ন্ত্রণ করে।

যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন:

১. চুন কখনও প্লাস্টিকের কিছুতে গোলানো যাবে না।

২. পুকুরে মাছ থাকা অবস্থায় চুন গোলানোর ২ দিন পর পুকুরে দিতে হয়।

৩. গোলানোর সময় এবং দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন নাকে মুখে ঢুকে না যায়।

৪. পানি নাড়া চাড়া করে দিতে হবে।

আরোও পড়ুন: মাছ দেখে পুকুরের সমস্যা নির্ণয়ের কৌশল ও সমাধান

পানির রং দেখে পুকুরের প্রাকৃতিক খাবারের অবস্থা জানার কৌশল

পুকুরের মাটি ও পানির বিভিন্ন গুনাগুণ (Parameters) পরিমাপ পদ্ধতি এবং গুরুত্ব

পুকুরে নিয়মিত লবণ ও জীবণুনাশক প্রয়োগের গুরুত্ব

পুকুরে সার প্রয়োগ:

সার প্রয়োগ প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক; জৈব সার/প্রাকৃতিক যা কিনা প্রাণীকণা তৈরি করে। গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, কম্পোস্ট; অজৈব বা রাসায়নিক বা কৃত্রিম সার ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি যা উদ্ভিদ কণা তৈরি করে।

জেনে নিন পুকুরে চুন প্রয়োগের উপকারিতা ও সাবধান শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন কৃষিবিদ হাসান রিয়াদুল আলম, পান্থনীড়, ফেনী।