নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) বিজ্ঞানীরা সফলতার সাথে ইতোমধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ১৯ প্রজাতির মাছের জিনপুল সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব মাছের পুষ্টিগুণ ও মূল্য অন্যান্য মাছের তুলনায় অনেক বেশি।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সদর দপ্তর পরিদর্শনে এসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মো: আশরাফ আলী খান খসরু এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি সকল দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানান। এ লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিন সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও সর্বোপরি দারিদ্র্য দূরীকরণে মৎস্য খাতের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে এ খাতের উন্নয়ন ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে দেশের বর্ধিত জনগোষ্ঠীর প্রাণিজ আমিষ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দরিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

দেশের জনসাধারণ সহজেই কম মুল্যে বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মাছ মাছ খেতে পারছে। এ ধারা অব্যাহ্যত রাখতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নানামুখী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের সম্মানিত পরিচালক (গবে. ও পরি.) ড. মোঃ নুরুল্লাহ, পরিচালক (প্রশা. ও অর্থ) ড. মো. খলিলুর রহমান। এছাড়াও ইনস্টিটিউটের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রতিমন্ত্রী ইনস্টিটিউটের চলমান গবেষণা কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করেন এবং গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।