নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহী কাঁচাবাজারগুলোতে বেশ ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম-মুরগি ও বিভিন্ন ধরণের সবজি। কয়েকদিনের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে দেড়শ টাকা। অন্যদিকে, পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকায়। এছাড়া খুচরা বাজারে ডিমের দাম হালিতে দুই–তিন টাকা বেড়েছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি ২০২৩) রাজশাহীর উপশহর নিউমার্কেট, সাহেববাজার মাস্টারপাড়া, লক্ষীপুর কাঁচা বাজারের এ চিত্র পাওয়া গেছে।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা কয়েকদিন চাহিদা বেড়েছে ডিমের ফলে দাম েবেড়েছে। ইংরেজী বছরের শুরুতে হাঁসের মাংসের চাহিদা বেড়েছে। দু-সপ্তাহ আগে থেকে দাম বাড়তির দিকে থাকায় এখনও সেই আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে হাঁস। ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণ করে কারা, কেন ধরা খায় খামারিরা?

বাজারে করলা, কাঁকরোল, কচুর লতি, চিচিঙ্গা, ঝিঙে ও ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। কয়েক দিন আগেও এসব সবজির দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। সেই হিসাবে এসব সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। পেঁপে ও ঢ্যাঁড়স ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৪০ টাকায়।

চার থেকে পাঁচ দিন আগে শসার কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, এখন সেটা ৬০ টাকা। বেগুন মানভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে কয়েক দিন ধরে আলু ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৬০ টাকা থেকে হয়েছে ১২০ টাকা।

কাঁচামাল আড়ত মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সবজির বাজার এখনো অস্বাভাবিক অবস্থা ধারণ করেনি। আর সাধারণত বছরের এই সময়ে প্রাকৃতিক কারণেই সবজি উৎপাদন হয়। সুতরাং, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষক, ব্যবসায়ী ও ক্রেতার সবার একধরনের প্রস্তুতি থাকে। রাজশাহীতে এবার পুরোবছরই ভালো দামে বিক্রি হয়েছে সবজি।

পড়তে পারেন: সোনালী মুরগির এ গ্রেড বাচ্চা নির্বাচন পদ্ধতি

বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভালো দাম বিক্রি হচ্ছে মুরগি। মুরগির দাম কমতে পারে কিনা জানতে চাইলে রাজশাহীর সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া এলাকার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মিলন হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মুরগির দাম আরও বাড়বে। খামারিরা নতুন করে বাচ্চা তুলছেন না। আমাদের কাছে মুরগির আমদানি কমে গেছে। বাজারে মুরগির যা দাম আছে তাতে কিছুটা বাড়তে পারে। আবার নাও বাড়তে পারে; বলা যায় না পোল্ট্রি সেক্টরের কথা! হটাৎ আমদানি বেড়ে গেলে দাম কমে যায়। আবার বাজার টান পড়লে দাম বাড়ে।

পাইকারি মুরগি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ৫ টাকা কেজিতে বাড়ছে আবার কমছে। ব্রয়লারের কেজি সর্বনিন্ম ১৬০ টাকা রাখা দরকার। তাহলে আমাদের দেশের খামারিরা লাভবান হতে পারবে। ব্রয়লার মুরগির দাম সবচেয়ে বেশি উঠানামা হয়েছে। এরআগে সচরাচর ব্রয়লারের কেজিতে ১০ টাকা বাড়লে আবার ১০ টাকা কমে যায়। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালী ২৮০ টাকা, লাল লেয়ার ২৮০ টাকা, রাজহাঁস ৬০০ টাকা, দেশী পাতিহাঁস ৪৫০ কেজি দরে বিক্রি করছি।

পড়তে পারেন: বেড়েছে ডিম-মুরগি-সবজির দাম

বাজারের ডিম ব্যবসায়ী শামীম হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মাস খানেক ধরেই ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতিহালি (৪টি) লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়। প্রতি একশ লাল ডিম ৯৫০ টাকা, সাদা ডিম ৯০০ টাকা। যা জানতে পারছি- দাম আরো বাড়তে পারে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ