কৃষিবিদ ফেরদৌসী বেগম, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভাদ্র মাসে লাউ শিমের চারাগাছ বেশ বড় হয়ে যায় তাই ‍বিশেষ যত্ন নিতে হবে। পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষায় নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এছাড়া এ সময়ে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের প্রস্ততি নিতে পারেন।

আগাম যারা লাউ শিম লাগিয়েছেন তারা ফল পেতে শুরু করেছেন। তবে, ভাদ্র মাসে লাউ ও শিমের বীজ বপন করা যায়। এজন্য ৪-৫ মিটার দূরে দূরে ৭৫ সেমি. চওড়া এবং ৬০ সে.মি গভীর করে মাদা বা গর্ত তৈরি করতে হবে। এরপর প্রতি মাদায় ২০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৭৫ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। মাদা তৈরি হলে প্রতি মাদায় ৪-৫টি বীজ বুনে দিতে হবে এবং চারা গজানোর ২-৩ সপ্তাহ পর দুই-তিন কিস্তিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৭৫ গ্রাম এমওপি সার উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।

পড়তে পারেন: শীতকালীন সবজিতে সয়লাব বাজার, বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

এ সময় আগাম শীতকালীন সবজি চারা উৎপাদনের কাজ শুরু করা যায়। সবজি চারা উৎপাদনের জন্য উঁচু এবং আলো বাতাস লাগে এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে। জমি ভালোভাবে কুপিয়ে বা চাষ দিয়ে মাটি ঝুর ঝুরে করতে হবে। চাষের সময় ১ বর্গমিটার জমির জন্য ১০ কেজি জৈবসার এবং ৩০০ গ্রাম টিএসপি মাটির সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে।

জমি তৈরি হয়ে গেলে এক মিটার চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বা করে বেড তৈরি করতে হবে। দুই বেডের মাঝখানে ৬০ সেমি. ফাঁকা রাখতে হবে। এতে যে নালা তৈরি হবে তার গভীরতা হবে ১৫ সেমি.। বীজতলা হয়ে গেলে সেখানে উন্নত জাতের ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো এসবের বীজ বুনতে পারেন।

পড়তে পারেন: ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি, ব্রয়লারের কেজিতে বাড়লো ১৫ টাকা

এ সময় আগাম শীতকালীন সবজি চারা উৎপাদনের কাজ শুরু করা যেতে পারে। সবজি চারা উৎপাদনের জন্য উঁচু এবং আলো বাতাস লাগে এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে।

এক মিটার চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বাকরে বীজতলা করে সেখানে উন্নতমানের ও উন্নতজাতের উচ্চফলনশীল ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো এসবের বীজ বুনতে পারেন। বীজতলার মাটি অবশ্যই শুকনো হতে হবে। অন্যথায় গোড়া ও মূল পচা রোগে সব চারা পচে যেতে পারে।

ভাদ্র মাসে লাউ শিমের ‍বিশেষ যত্ন, আগাম শীতকালীন সবজির প্রস্ততি লিখেছেন কৃষিবিদ ফেরদৌসী বেগম। লেখাটি কৃষিতথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ