নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে মসলা পণ্য আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ। দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য আমদানি হলেও ভরা মৌসুমে ভারতীয় রসুন আসায় দেশের চাষিরা দাম পান না। ফলে আগ্রহ হারাতে শুরু করেছে চাষিদের।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৫০০ টন রসুন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সাতক্ষীরা সদরসহ সাতটি উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে রসুন।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এক মাসের ব্যবধানে অন্তত ৩০০ টন রসুন আমদানি বেড়েছে। দেশীয় বাজারে চাহিদা বাড়ায় পণ্যটি আমদানি বেড়েছে বলে জানান বন্দরসংশ্লিষ্টরা। এদিকে আমদানি বাড়ায় পণ্যটির দাম কমেছে।

পড়তে পারেন: দেশী রসুন ৭০, ভারতীয় ১১০ টাকা

অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৫০০ টন রসুন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সাতক্ষীরা সদরসহ সাতটি উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে রসুন।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এ বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৬৩ টন। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৮৭৭ এবং আগস্টে ১ হাজার ১৮৬ টন। যার আমদানি মূল্য ২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ফলে গত এক মাসের ব্যবধানে পণ্যটি আমদানি বেড়েছে ৩০৯ টন। তবে গেল অর্থবছরের একই সময় রসুন আমদানি বন্ধ ছিল বলে জানায় সূত্রটি।

পড়তে পারেন: চায়না রসুন ১৫০ দেশী ৭০ টাকা, কমেছে ডিম-মুরগির দাম

ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, দেশীয় বাজারে চাহিদার পাশাপাশি দাম কমে যাওয়ায় রসুন আমদানি বেড়েছে তার প্রতিষ্ঠানে। গত এক মাসের ব্যবধানে প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছে আমদানি। গত জুলাই মাসে সপ্তাহে ২০-২২ ট্রাক রসুন আমদানি হয়েছে তার প্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে গেল আগস্টে সপ্তাহে ২৫-২৬ ট্রাক আমদানি হয়।

সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি মসলা পণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আবির এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক আব্দুল আজিজ জানান, সম্প্রতি আমদানীকৃত রসুনের দাম কিছুটা কমে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতার মাঝে চাহিদা বেড়েছে। এক মাস আগেও আমদানীকৃত রসুনের পাইকারি দাম ছিল কেজিপ্রতি ৬৫-৭০ টাকা। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে। এক মাসের ব্যবধানে পণ্যটির দাম ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।

পড়তে পারেন: দাম বাড়ছে ভারতীয় রসুন-মরিচের

ভোমরা শুল্ক স্টেশন কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রসুন আমদানি বেড়েছে। পণ্যটি আমদানিতে সরকারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হয়েছে। গত দুই মাসে ১ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে রসুন আমদানি থেকে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, রসুন একটি লাভজকন ফসল। তবে সাতক্ষীরায় পণ্যটি উৎপাদনে কৃষক তেমন আগ্রহ দেখান না। ফলে আমদানির মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করতে হয়।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ