হিলি প্রতিনিধি, দিনাজপুর: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে। দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এক সপ্তাহ ধরে পণ্যটির বাজার স্থিতিশীল। তুলনামূলক কম দাম এবং মান ভালো হওয়ায় ক্রেতারা ভারতীয় পেঁয়াজের বদলে দেশীয় পেঁয়াজই বেশি কিনছেন।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ভারত থেকে নতুন মৌসুমের ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আসছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের ছোট আকারের পেঁয়াজ ২৪-২৫ টাকা কেজি দরে এবং বড় আকারের নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩১-৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে হিলি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ টাকা কেজি দরে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা এরশাদ হোসেন বলেন, বাজারে আমদানীকৃত পেঁয়াজের তুলনায় দেশীয় পেঁয়াজের দাম খানিকটা কম। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে আমাদের দেশীয় পেঁয়াজের স্বাদ ও মান ভালো। এক সপ্তাহ ধরে পণ্যটির দাম অপরিবর্তিত।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, বর্তমানে পাবনা মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশীয় পেঁয়াজ ওঠায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় দাম কম হওয়ায় দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রিও হচ্ছে বেশি। বন্দর দিয়ে আমদানি কমলেও সে তুলনায় দাম বাড়েনি।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

ভারত থেকে সাড়ে ৮৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি

ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে দেশীতে বাজার দখল

ভরা মৌসুমে ভারত থেকে ঢুকছে পেঁয়াজ, হু-হু করে কমছে দাম

ভারতীয় জাতের কারণে ধরা দেশের পেঁয়াজচাষিরা

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোজাম্মেল হক বলেন, বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তাই আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের তেমন চাহিদা নেই। দেশীয় পেঁয়াজ দিয়েই মিটছে চাহিদা। ডলার সংকটে ব্যাংকগুলো চাহিদামতো এলসি দিচ্ছে না। এর ওপর পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

তাই আমদানি কমে এসেছে। অল্প পরিমাণে কিছু ভালো মানের ও বড় আকারের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, যা চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাচ্ছে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে দেশীয় পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হলে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা যেমন বাড়বে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের প্রথম দিকে বন্দর দিয়ে ৭-১০ ট্রাক আমদানি হলেও সপ্তাহের শেষ দিকে তা কমে তিন-চার ট্রাকে নেমে আসে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ