মাছের বংশ ধ্বংসকারী অবৈধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাছের বংশ ধ্বংসকারী অবৈধ জালের উৎসমূল নির্মূলে জোর দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

আজ রোববার (৩১ মার্চ) উত্তরায় নবম তলা বিশিষ্ট মৎস্য ভবন-২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি অবৈধ জাল নির্মূল বিষয়ে জোর দেন। ভবনটির ফলক উন্মোচনের পর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এ সভা।

মাছের বংশ ধ্বংসকারী অবৈধ জালের উৎসমূল নির্মূলে জোর দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্য খাতের উন্নয়ন-ত্বরান্বিতের লক্ষে এসব জাল ধ্বংস করতে না পারলে থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের মতন আমাদের দেশীয় মাছও আর খুঁজে পাওয়া যাবে  না।

সভায় জানানো হয়, ৫ কাঠা জমিতে নির্মিত এই ভবনে ঢাকা বিভাগীয় মৎস্য অফিস এবং ঢাকা জেলা মৎস্য অফিসের কার্যক্রম চলবে। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

পিডব্লিউডি কর্তৃক ডিজাইনকৃত ভবনটির নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে মৎস্য অধিদফতরের ‘মানসম্মত মৎস্যবীজ ও পোনা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে মৎস্যস্থাপনা পুনর্বাসন ও উন্নয়ন প্রকল্প’।

প্রতিমন্ত্রী মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিকদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি এবং মৎস্য অধিদফতরের প্রচেষ্টায় দেশে বিলুপ্ত প্রায় ১৯ প্রজাতির মাছের পুনরাবির্ভাবের কথা উল্লেখ করে বিদেশে মাছ রপ্তানির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে তিনি মৎস্য উপখাতের এডিপির মূল্যায়ন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপি বরাদ্দ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি/১৯ পর্যন্ত ৮ মাসের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

এ খাতে ২১টি প্রকল্পের জন্য চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিল ৪৪০ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৭৮কোটি ৮৪লাখ টাকা। বিগত ২০১৭-১৮ অর্থভছরে একই খাতের ২৬টি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৪৮৬ কোটি ৬০ লাখ এবং ব্যয় হয়েছিল ১৪৮কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য যে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপখাতের সর্বমোট ৪৪টি প্রকল্পে  ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট বরাদ্দ ছিল প্রায় ৮১৯ কোটি টাকা এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উভয় উপখাতে ব্যয় হয়েছে মোট প্রায় ৩৪৮কোটি টাকা।

অন্যদিকে, বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৭টি প্রকল্পের জন্য এ বরাদ্দ ছিল ৭৮৯কোটি ৫লাখ টাকা  এবং ব্যয় হয়েছিল ৩৪৮কোটি ৪৮লাখ টাকা।

আরও পড়ুন: জেলেদের জেল জরিমানার পরিবর্তে জাল উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের শাস্তির আহ্বান

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।