মাছের লাল ফুটকি রোগের

মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাছের লাল ফুটকি রোগের কারণে উৎপাদন কমে যায়। এছাড়া নানা সমস্যায় পরতে হয় চাষিদের। মাছের লাল ফুটকি রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।

কারণ: যেসব কারণে মাছের লাল ফুটকি রোগ হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, অতিরিক্ত কাদা, অধিক মজুদ ঘনত্ব। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষে প্রতিটি বিষয়ই খেয়াল করে মাছ চাষ করতে হবে। তবেই লাভবান হওয়া যাবে।

যেসব মাছে রোগটি হয়ে থাকে: (সংবেদনশীল প্রজাতি) বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিলভার কার্প, বিগহেড কার্প ও পাঙ্গাস মাছে এ রোগ আক্রমণ করে থাকে।

কেমন করে চিনবেন রোগটি মাছে আক্রামণ করেছে: (লক্ষণ): খেয়াল করে দেখবেন যে, মাছের দেহে লালদাগ, চাপ দিলে রক্তের মত বের হলে বুঝবেন রোগটি আক্রমণ করেছে।

চিকিৎসা বা প্রতিকার: ব্লিচিং পাউডার- 12 গ্রাম/শতাংশ./ফুট হারে প্রয়োগ করতে হবে। চুন 1 কিলো/ শতাংশ পটাসিয়াম পারম্যানেট- ২৪ থেকে ৩৬ গ্রাম/শতাংশ/ফুট হারে প্রয়োগ করতে হবে। মাছের মজুদ ঘনত্ব হ্রাস করতে হবে।

মাছ চাষি যে কোন রোগের দেখা মিললেই প্রথমে যাওয়া উচিত আপনার নিকটস্থ কোন মৎস্য অফিসে। তাদের কাছ থেকেই ভালো মানের সেবা মিলবে।

এছাড়া এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর পক্ষ থেকেও এমন সেবা দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনাদের রোগাক্রান্ত মাছের ছবিসহ বিস্তারিত মেইলে অথবা আমাদের ফেসবুক ম্যাসাঞ্জারে পাঠাতে হবে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষজ্ঞ এর কাছ থেকে সঠিক পরামর্শটি সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে পাঠাবো।

মাছের লাল ফুটকি রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা সংবাদটির তথ্য মৎস্য অধিদফতরের মৎস্য পরামর্শ সেবা অ্যাপ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। মাছ চাষ বিষয়ে যে কোন কিছু জানতে আমাজের এসএমএস অথবা মেইল করতে পারেন। অথবা ফোন করেও জানাতে পারেন আপনার সমস্যার কথা।

আরও পড়ুন: ভাসমান খাঁচায় গুলশা মাছ চাষের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা