মানুষের যেমন জ্বর, সার্দি, কাশিসহ নানান রোগ হয় ঠিক অন্যান্য প্রানীরও রোগ হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া, ছাত্রাক, মাইকোপ্লাজমা ও অণুজীবের আক্রমণে এসব রোগ হয়। মাছের পাখনা ও লেজ পচা রোগ এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। আসুন জেনে নিই মাছের লেজ ও পাখনা পচা রোগের কারণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি। লিখেছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত লেখক কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ

লেজ ও পাখনা পচা রোগ:

রোগের কারণ ও লক্ষণ : অ্যারোমোনাস ও মিক্সো ব্যাকটেরিয়া দিয়ে এ রোগ হয়। দেহের পিচ্ছিল পদার্থ কমে যায়। লেজ ও পাখনায় সাদাটে দাগ দেখা যায়। লেজ ও পাখনায় পচন ধরে। লেজ ও পাখনার পর্দা ছিড়ে যায়। লেজ ও পাখনা খসে পড়ে। রক্তশূন্যতা দেখা দেয় ও রঙ ফ্যাকাশে হয়। মাছ দেহের ভারসাম্য হারায়। মাছ ঝাঁকুনি দিয়ে চলাফেরা করে। আক্রান্ত স্থানে তুলার মতো ছত্রাক জন্মায়।

আরোও পড়ুন: মাছ ছাড়ার আগে পুকুর প্রস্তুতির ৯ ধাপ ও কয়েকটি সতর্কতা

শিং-মাগুর ও কৈ মাছ কেন চাষ করব

বন্যায় মাছে ক্ষতি ৩৮২ কোটি টাকা

প্রতিরোধ ও প্রতিকার :

পুকুরে জৈবসার প্রয়োগ কমাতে হবে। নিয়মিত হররা বা জাল টেনে পুকুরের তলার বিষাক্ত গ্যাস কমাতে হবে। মজুদকৃত মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। পুকুরে প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করা। প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে ২৫ মিলিগ্রাম টেট্রাসাইক্লিন মিশিয়ে পর পর ৭ দিন দিতে হবে। পোনা মাছে ১ পিপিএম তুঁত দ্রবণে সপ্তাহে ২ দিন চুবিয়ে জীবাণুমুক্ত করে পরিষ্কার পানিতে ছেড়ে দিতে হবে।

মাছের লেজ ও পাখনা পচা রোগের কারণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত লেখক কৃষি প্রাবন্ধিক ও সহকারী অধ্যাপক কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ, শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল।